ইয়েমেনে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ১৭

ইয়েমেনের মারিব শহরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথির ওপর দায় চাপিয়েছেন প্রাদেশিক সরকারের প্রেস সেক্রেটারি আলী আল-ঘুলিসি। রবিবার কাতারভিত্তিক এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

হুথিরা মারিব শহরের একটি জ্বালানি পাম্প লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে দেশটির সরকার। এতে বিকট বিস্ফোরণে আগুন ধরে গেলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। তথ্যমন্ত্রী মোয়াম্মার আল-ইরানী জানান, হামলায় আরও পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। একে যুদ্ধাপরাধ অ্যাখা দিয়ে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। যদিও হুতি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামের সামরিক আগ্রাসন শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। স্কুল, বাজার ও হাসপাতাল, জানাজা নামাজসহ বিভিন্ন স্থানে সৌদি জোটের বিমান হামলায় নিহত হয় লক্ষাধিক বেসামরিক মানুষ। আহত হয় আরও অনেকে। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায় ইয়েমেন। একপর্যায়ে সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন ওবামা প্রশাসন। তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে ওই নীতি বদলে দেন। ট্রাম্পের বিদায়ের পর নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় এসেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইয়েমেনে সৌদি অভিযানকে আর সমর্থন দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। চলমান সংঘাত নিরসনে বিবদমান দলগুলোর মধ্যে আলোচনা অব্যাহত থাকলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।