পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের গোপন অভিযান

দখলকৃত পশ্চিম তীরে ‘গোপন অভিযান’ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারিয়েছেন তিন ফিলিস্তিনি। বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে এই অভিযান চালায় ইসরায়েলের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলের দাবি, তারা ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ-এর কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় বন্দুকধারীদের সঙ্গে গোলাগুলি হয় ইসরায়েলি বাহিনীর। শব্দ শুনে ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে আসেন ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা সদস্যদের দিকে গুলি ছোড়ে তারা। পাল্টা জবাব দিলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা সদস্যদের ইসলামিক জিহাদ-এর কর্মী ভেবেই গুলি করে ইসরায়েলি বাহিনী। নিহত ফিলিস্তিনিদের শেষকৃত্যে অনুষ্ঠানে জেনিন শহরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ করেন।

এ ঘটনা বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে সতর্ক করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদাইনা। এসবের জন্য দায়ী ইসরায়েল সরকার। নৃশংস ঘটনা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গত রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা উপলক্ষে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে জড়ো হলে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েলি পুলিশ। পরদিন পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতেও থেমে ছিল না দখলদার বাহিনীর তাণ্ডব। এতে শত শত ফিলিস্তিনি আহত হয়। ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা রকেট হামলা চালিয়েছে; এমন অভিযোগে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করে দখলদার বাহিনী। জবাবে রকেট হামলা চালিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতে ৬৬ শিশুসহ ২৬০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। হামাসের পাল্টা প্রতিরোধে ইসরায়েলে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের চাপে মিসরের মধ্যস্থতায় গত ২১ মে থেকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় ইসরায়েল। এরইমধ্যে পশ্চিম তীরে গোপনে সামরিক অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।