‌আজই প্রধানমন্ত্রীর পদ হারাতে পারেন নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসন অবসানে আজ (রবিবার) নতুন সরকার গঠন অনুমোদন পেতে যাচ্ছে দেশটির পার্লামেন্টে। নেতানিয়াহু বিরোধী সরকারটি বেশ কয়েকটি দলের জোটে গঠিত হচ্ছে। পার্লামেন্টে মাত্র এক আসনে এগিয়ে রয়েছে বিরোধী জোট। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, শুধু নেতানিয়াহুর শাসনের অবসান নয়, এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের দুই বছর ধরে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থাও কাটবে। এই সময়ে দেশটিতে চারটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ক্ষমতা ভাগাভাগির সমঝোতা অনুসারে ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী নাফতালি বেনেত ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। জোটের শর্ত অনুসারে, ইয়ামিনা পার্টির নেতা বেনেত ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করবেন। এরপর তিনি ইয়েশ আতিদ পার্টির নেতা ইয়ার লাপিদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। লাপিদ দুই বছর ক্ষমতায় থাকবেন।

ইসরায়েলে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা নেতানিয়াহু ডানপন্থী লিকুদ পার্টির প্রধান এবং বিরোধী দলীয় নেতা থাকবেন। তিনি এই জোট সরকারের বিরোধিতা করে বলেছেন, এটি জালিয়াতি ও আত্মসমর্পণের বিপজ্জনক জোট। দ্রুত জোট সরকারকে উৎখাতের অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

ইসরায়েলের ৭৩ বছরের ইতিহাসে বেনেতের জোটের মতো অতীতে কোনও সরকার দেখা যায়নি। জোটে থাকা দলগুলোর আদর্শগত ভিন্নতা রয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো এই প্রথম ইসরায়েলে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের দল সরকার গঠনে অংশ নিচ্ছে। নতুন সরকারে রেকর্ড সংখ্যক আটজন নারী মন্ত্রী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০০৯ সাল থেকে টানা ১২ বছর পাঁচ মেয়াদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছেন।  কিন্তু গত কয়েক বছরে তার জনপ্রিয়তা ব্যাপক ভাবে হ্রাস পেয়েছে।  তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, জালিয়াতি ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে বিচার চলছে। যদিও তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।