দক্ষিণপূর্ব এশীয় মুসলিম দেশের সঙ্গে সম্পর্ক চায় ইসরায়েল

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে উদগ্রীব ইসরায়েল। সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানালেও এসব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত সাগি কারনি। বৃহস্পতিবার তিনি এ মন্তব্য করেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেই। মে মাসে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি টানা ১১ দিনের বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এসব দেশ। দেশ তিনটি জাতিসংঘকে বলেছে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে এই নৃশংসতা বন্ধে হস্তক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনও সম্পর্ক নেই এই তিনটি দেশের। তাদের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ফিরিয়ে দিয়ে ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুসারে দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত সাগি কারনি বলেন, তিনটি দেশের সমালোচনা সৎ না এবং সংঘাতের প্রকৃতিতে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।

তার দাবি, এই সংঘাত ছিল ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে নয়।

ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেন, হামাস একটি ইহুদিবিদ্বেষী সংগঠন। আমি নিশ্চিত নই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিতর্কে অংশ নেওয়া মানুষেরা সত্যিকার অর্থে হামাসের জঙ্গি ও ফ্যাসিবাদী প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা রাখেন কিনা।

হামাস বরাবরই ইহুদি বিদ্বেষের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

কারনি জানান, ইসরায়েলে স্বীকার করেছে ১১ দিনের হামলায় বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু ঘটেছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যা ঘটছে সেটাতে কার্যকর প্রভাব রাখতে হলে যেকোনও পক্ষের জন্য একমাত্র উপায় হলো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা।   

তিনি বলেন, আমরা আলোচনায় রাজি, বৈঠকে আগ্রহী এবং আমাদের দরজা উন্মুক্ত। আমি মনে করি না আমাদের খুঁজে পাওয়া কঠিন।

ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও মিয়ানমারে ইসরায়েলি দূতাবাস রয়েছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চারটি আরব দেশ- সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।