‘মরুকরণের ফলে বাড়ছে পরিবেশগত অভিবাসীর সংখ্যা’

দুনিয়াজুড়ে প্রায় দুই বিলিয়ন মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করছে মরুকরণ। এটি মানুষকে ‘পরিবেশগত অভিবাসী’ করে তুলছে। এমনটাই মনে করেন পরিবেশ বিষয়ক একটি অলাভজনক সংস্থার প্রধান ডেনিজ অ্যাটাক।

তার্কিশ ফাউন্ডেশন ফর কমব্যাটিং সয়েল এরোশন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন ডেনিজ অ্যাটাক। বনায়ন ও প্রাকৃতিক বাসস্থান সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে তার প্রতিষ্ঠান। বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভূমিক্ষয়ের ফলে খাদ্য উৎপাদন কমেছে ১১ শতাংশ।

ডেনিজ অ্যাটাক বলেন, ভূমিক্ষয় জমির উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়। এটি জীববৈচিত্র্য হ্রাস করে, কার্বন সিকোয়েস্টেশনের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। জলাভূমিসহ প্রকৃতির যাবতীয় বাস্তুতন্ত্র পরিষেবায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সংক্ষেপে মরুকরণের মানে যেটি দাঁড়ায়, সেটি হচ্ছে খরা, দারিদ্র্য, খাদ্য ও পানির সংকট।

তিনি বলেন, শুষ্ক অঞ্চলগুলোতে ভঙ্গুর বাস্তুসংস্থান রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব অঞ্চলগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এসব এলাকায় খরা বাড়বে এবং তা আরও তীব্র রূপ নেবে।

তার্কিশ ফাউন্ডেশন ফর কমব্যাটিং সয়েল এরোশন-এর এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ভূমিক্ষয়, মাটির অনুপযুক্ত ব্যবস্থাপনা, রাসায়নিক সারের অত্যধিক ব্যবহার, কৃষিতে কীটনাশক ব্যবহার, অত্যধিক ও ভুল সেচ এবং দূষণের কারণে প্রতি বছর ১২ মিলিয়ন হেক্টর (২৯ দশমিক ৭ মিলিয়ন একর) কৃষিজমির উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায়।