পেগাসাসের নজরদারিতে দুই প্রিন্সেস!

ইসরায়েলি এনএসও কোম্পানির স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে দুবাইয়ের আলোচিত প্রিন্সেস লতিফা ও জর্ডানের প্রিন্সেস হায়ার ওপর নজরদারি চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্যাতনের মুখে লতিফার পরিবার ছেড়ে পালানোর সময় ফোনে ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যে আলোচনা হয়, তাতে নজরদারি হতে পারে।

লোকজনের ওপর গোপনে নজরদারি করতে ইসরায়েলের একটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে একটি স্পাইওয়্যার বিক্রি করেছে। এই স্পাইওয়্যার দিয়েই ৫০ হাজার ফোনের ওপর গোপনে নজরদারি চালানো হয়েছে। এমন চাঞ্চল্যকর খবরে তোলপাড় বিশ্বজুড়ে।

২০১৯ সাল থেকে ১৭টি দেশের সংবাদমাধ্যম মিলে ‘দ্য পেগাসাস প্রজেক্ট’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ফোনে নজরদারির বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। সেই অনুসন্ধানেই উঠে এসেছে বিশ্বজুড়ে ৫০ হাজার ফোন হ্যাক করে সেগুলোতে নজরদারি চালানোর বিষয়টি।

নতুন করে যুক্ত হয়েছে দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মেদ বিন রশিদ আল মাখতুমের কন্যা লতিফা এবং তার সাবেক স্ত্রী ও জর্ডানের প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল-হুসাইন। এ দুজনই নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা হুমকির অভিযোগ তুলে দুবাই থেকে পালানোর চেষ্টা করে। তবে পালানোর সময় প্রিন্সেস লতিফা ধরে পড়লে আলোচনার জন্ম দেয় বিশ্বজুড়ে।

সে সময় তার ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে ফোনে গোপনে যে আলোচনা হয় তাতে কেউ নজরদারি চালাতে পারে, এমন খবর প্রকাশ করেছে বিবিসিসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

পেগাসাস ব্যবহার করে আড়ি পাতার জন্য টার্গেট করা হয়েছে, ফাঁস হওয়া এমন ৫০ হাজার ফোন নম্বরের তালিকায় লতিফার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনের নম্বর থাকার কথা জানা গেছে। সে সময় প্রিন্সেসের ফোনে নজরদারি হতে পারে। এ ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে এনএসও।