তিউনিসিয়ায় অস্থিরতার জন্য আমিরাতকে দুষলেন এন্নাহদা প্রধান

তিউনিসিয়ার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দায়ী করেছেন দেশটির স্পিকার ও পার্লামেন্টের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এন্নাহদার প্রধান রাশিদ ঘানুশি। তিনি বলেছেন, তার দেশে স্বৈরশাসনের পরিবর্তে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার ঘটনাকে হুমকি মনে করছে আমিরাত। এজন্য তারা তিউনিসে চলমান রাজনৈতিক সংকটে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

২০২১ সালের ২৫ জুলাই সেনা সমর্থন নিয়ে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসাচ মেচিচকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ। এক মাসের জন্য পার্লামেন্টও স্থগিতের ঘোষণা দেন তিনি। তার এমন পদক্ষেপকে বিরোধীরা ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে অভিহিত করেছে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেউ বিক্ষোভ বা সহিংসতার কথা চিন্তা করলে সশস্ত্র বাহিনী বুলেট দিয়ে তার জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন কায়েস সাঈদ। একইসঙ্গে এক মাসের জন্য কারফিউ ঘোষণা করেন তিনি। বেসামরিক এই অভ্যুত্থানের শুরু থেকেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম আসছিল।

টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিদ ঘানুশি বলেন, ‘আমিরাত তিউনিসিয়ায় আরব বসন্তের ফলাফলকে ধ্বংস করে দিতে চায়। তারা এই ধারণা গ্রহণ করেছে যে তিউনিসিয়া থেকে আরব বসন্ত শুরু হয়েছিল এবং সেখানেই তা শেষ করতে হবে।’

রাশিদ ঘানুশি বলেন, তার দলের মাধ্যমে তিউনিসিয়ায় যে গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটেছে, তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে।

তিনি বলেন, মিসরে মুসলিম ব্রাদারহুড সরকারকে উৎখাতের পেছনে আমিরাতের হাত ছিল। তবে তিউনিসিয়া মিসর নয়। এখানে মিসরের স্বৈরশাসকের আদলে সামরিক শাসন চেপে বসতে পারবে না। বিপ্লবের পর থেকে এখানে সেনাবাহিনী স্বাধীনতা ও ব্যালট বাক্সের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে।