ধৈর্য হারিয়েছে তুরস্ক, সিরিয়ায় নতুন অভিযান শুরু হবে: এরদোয়ান

প্রতিবেশি সিরিয়া থেকে কুর্দি গ্রুপের হামলায় তুরস্ক ধৈর্য হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। সিরিয়ায় নতুন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর গত সোমবার এরদোয়ান বলেন, সিরিয়ার কয়েকটি এলাকা আমাদের দেশে হামলার উৎস হয়ে ওঠায় আমাদের আর ধৈর্য নেই। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘এসব স্থান থেকে আসা হুমকি নস্যাতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তা সেখানে থাকা সক্রিয় বাহিনী দিয়েই হোক বা আমাদের নিজেদের উপায়েই হোক।’

উত্তর সিরিয়ার আজাজ এলাকা থেকে ছোড়া গোলায় তুরস্কের দুই পুলিশ নিহত হওয়ার পর এমন ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। ওই অঞ্চলটি কুদি গ্রুপি ওয়াইপিজির নিয়ন্ত্রণে বলে ধারণা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গ্রুপটিকে সন্ত্রাসী বলে বিবেচনা করে আঙ্কারা।

এরদোয়ান বলেন, ‘আমাদের পুলিশের ওপর সর্বশেষ হামলা এবং আমাদের ভূখণ্ডকে টার্গেট করে করা হয়রানি চূড়ান্ত ক্ষোভের বিষয়।’

গত প্রায় এক দশক ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ওয়াইপিজি এবং এসডিএফ এর মতো কুর্দি গ্রুপগুলো তুরস্কের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ। এই গ্রুপগুলোকে কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টি (পিকেকে) সমর্থিত সন্ত্রাসী গ্রুপ বলে মনে করে আঙ্কারা।

তুরস্ক যদি নতুন করে সিরিয়ায় অভিযান চালায় তাহলে এটি হবে তাদের এধরণের চতুর্থ সামরিক অভিযান। এর আগে ২০১৬ সালে ইউফ্রেটিস শিল্ড, ২০১৮ সালে অলিভ ব্রাঞ্চ এবং ২০২০ সালে স্প্রিং শিল্ড নামে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালায় আঙ্কারা। এসব অভিযানের মাধ্যমে নিজেদের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার দাবি করে থাকে তুরস্ক।