বৈরুতের সহিংসতার ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন লেবানিজ প্রধানমন্ত্রী

বৈরুতে বৃহস্পতিবারের রক্তক্ষয়ী সহিংসতার ঘটনায় নিজ দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি। ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় আননাহার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাজিব মিকাতি বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়েছে যে, বৈরুতের নিরাপত্তার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয়ভাবে শোক দিবস পালনেরও ঘোষণা দিয়েছেন লেবানিজ প্রধানমন্ত্রী। দেশে শান্তি বজায় রাখার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সতর্ক করেছেন লেবাননকে সহিংসতার দিকে টেনে নেওয়ার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহর হাজার হাজার সমর্থক কালো পোশাক পরে বৈরুত জাস্টিস প্যালেসের সামনে জড়ো হয়। লেবাননের রাজনৈতিক দল আমাল মুভমেন্টের সদস্যরাও এতে অংশ নেয়। এক পর্যায়ে বিক্ষোভ লক্ষ্য করে চারদিক থেকে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ছয় জন। আহত হন কমপক্ষে আরও ৩০ জন।

উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সেনাসদস্যরা। তাদেরকে ট্যাংক নিয়ে রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে। এ সময় হিজবুল্লাহ ও আমাল মুভমেন্টের সশস্ত্র সদস্যরাও প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালায়। রাজধানীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। উদ্ভূত পরিস্তিতিতে দেশে শান্তি বজায় রাখতে সবার সহায়তা চেয়েছে সরকার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাত বলেন, ‘শহরের শান্তি ফেরাতে সেনাবাহিনী মাঠে থেকে মনিটরিং করছে। হামলাকারীদের আটকের পাশাপাশি বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

গত বছরের বৈরুতের বন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত থেকে একজন বিচারককে অপসারণের দাবিতে ওই বিক্ষোভে নামে আন্দোলনকারীরা। তারেক বিতার নামের ওই বিচারককে যুক্তরাষ্ট্রের দাস হিসেবে অ্যাখায়িত করেন বিক্ষুব্ধরা।