পারমাণবিক আলোচনায় ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির’ দাবি ইরানের

২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি ফের সক্রিয় করতে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ইরান ও বিশ্ব শক্তিগুলোর মধ্যকার আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করা গেছে বলে জানিয়েছে তেহরান। সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সায়িদ খাতিবজাদেহ এই খবর জানিয়েছেন।

এছাড়া আলাদাভাবে ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলি শামখানি জানিয়েছেন ইউরোপীয়ান আলোচকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। তবে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার কোনও কর্মসূচি ছিল না।

গত বছরের এপ্রিল থেকে ভিয়েনায় তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চলছে। পশ্চিমা শক্তিগুলোর আশঙ্কা, দ্রুত চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে তেহরান পারমাণবিক অগ্রগতি অর্জন করে ফেললে পরে তা থেকে তাদের আর বিরত রাখা যাবে না।

ইরানি মুখপাত্র খাতিবজাদেহ গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির খবর দিলেও তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘সবকিছুতে সম্মত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনও কিছুই চূড়ান্ত নয়।’ সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বাকি থাকা ইস্যুগুলো আরও কঠিন।’

খাতিবজাদেহ জানান, ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল ভিয়েনার আলোচনা পরিচালনা করছে। সংস্থাটি সরাসরি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে জবাবদিহিতা করে থাকে।

গত সপ্তাহে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায় ভিয়েনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পরোক্ষ পারমাণবিক আলোচনা চুক্তির আকার নিতে শুরু করেছে। ২০১৮ সালে চুক্তিটি থেকে বের হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে ইরানের ওপর আরোপ করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা।

চুক্তির খসড়া লেখায় আরও কয়েকটি ইস্যু যুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকে জব্দ থাকা ইরানের শত শত কোটি ডলার ছাড় করা এবং পশ্চিমা কারাগারে আটক ইরানিদের মুক্তির ইস্যুও রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত শনিবার জানান, যুক্তরাষ্ট্র যদি প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে তাহলে পারমাণবিক চুক্তি দ্রুততম সম্ভাব্য সময়ে সফল হতে পারে।

সূত্র: রয়টার্স