মুক্তি পেল ইসরায়েলের ‘গুপ্তচর শকুন’

আট-দশটা শকুনের চেয়ে আকারে বড়। দুপাখা যখন প্রসারিত করে, তখন তার দৈর্ঘ্য হয় সাড়ে ছয় ফুট। নড়াচড়াতে রয়েছে বেশ রাজকীয় ভাব। পাখিটি ছিল ইসরায়েলের সংরক্ষিত একটি পার্কে। গবেষণা কাজে পাখিটির পায়ে পরানো হয়েছিল বিশেষ ট্র্যাকিং যন্ত্র। সম্প্রতি ছেড়ে দেওয়া হয় বনে। মুক্তি পেয়ে মনের আনন্দে হয়ত উড়ে বেড়াচ্ছিল শকুনটি। এত বড় পাখা নিয়ে আকাশে উড়ে বেড়াতে বেড়াতেই ঘটে বিপত্তি। খোলা আকাশে উড়ে বেড়ানো শকুনটির জানার কথা নয় মানুষের তৈরি দেশ-রাষ্ট্রের সীমানা। ফলে ইসরায়েলের সীমান্ত পেরিয়ে লেবাননের একটি গ্রামে উড়ে আসে সেই শকুন। গত মঙ্গলবার ওই গ্রামবাসী ধরে ফেলে পাখিটিকে।

এরপরের ঘটনা, বিশ্বের প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলোয় সেই শকুনটির আটক হওয়ার খবর। পায়ে থাকা ট্র্যাকিং যন্ত্রটি দেখে গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়, শকুনটি বুঝি ইসরায়েলের গুপ্তচর! গণমাধ্যমে শকুনটি ধরা পড়ার খবর পেয়ে ইসরায়েলের সংরক্ষিত বনাঞ্চল গামলা এলদাদ এইটানের ম্যানেজার যোগাযোগ করেন লেবাননের বিনত জাবিল পৌরসভায় থাকা জাতিসংঘের প্রতিনিধির সঙ্গে। শহরটি ইসরায়েল সীমান্ত থেকে আড়াই মাইল দূরে।

ইসরায়েলের কর্মকর্তার অনুরোধে জাতিসংঘের প্রতিনিধি যোগাযোগ করেন লেবানন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় মুক্তি পায় শকুনটি। শুক্রবার ফেরত নিয়ে যাওয়া হয় ইসরায়েলে।

ইসরায়েলের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শকুনটি অল্প আহত হয়েছে। নেওয়া হয়েছে পশু হাসপাতালে। তবে সার্বিক অবস্থা ভালো আছে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েল জানায়, জাতিসংঘ বাহিনী ও জাতিসংঘ মধ্যস্ততাকারী ইউনিটের সহযোগিতায় লেবাননের সঙ্গে এক বিচক্ষণ অভিযানে কয়েকদিন আগে বিনত জাবিল এলাকায় ধরা পড়া শকুনটিকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে দেশটির পার্ক কর্তৃপক্ষ। সেরে ওঠার পর শকুনটিকে বনে ছেড়ে দেওয়া হবে। সূত্র: বাজফিড।

/এএ/