অভ্যুত্থানচেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়ে তুরস্ক ইতিহাস রচনা করেছে: এরদোয়ান

২০১৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেওয়ায় নিজ দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। ব্যর্থ ওই অভ্যুত্থানের পর ১৫ জুলাই দিনটিকে গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্য দিবস ঘোষণা করা হয়। ওই অভ্যুত্থানচেষ্টার ষষ্ঠ বার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ জুলাই শুক্রবার ইস্তাম্বুলের সারাচান স্কয়ারে এক সমাবেশে অংশ নেন এরদোয়ান। এ সময় তিনি বলেন, ওই অভ্যুত্থানচেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়ে জাতি হিসেবে তুরস্কের মানুষ একটি ইতিহাস রচনা করেছে।

এরদোয়ান বলেন, হুমকির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তুরস্কের জনগণ সাহসের সঙ্গে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে, তারা তাদের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ব্যর্থ করার কোনও প্রচেষ্টা বরদাশত করবে না।

তিনি বলেন, সেই রাতে বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টাকারীদের প্রতিহতের জন্য যারা পদক্ষেপ নিয়েছিল তারা প্রত্যেকেই মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েছিল।

সেই রাতের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের স্মরণ করে এরদোয়ান বলেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে একটি শক্তিশালী তুরস্কের বিনির্মাণ অব্যাহত রাখবো যাতে আমাদের দেশ ফের কখনও ১৫ জুলাইয়ের মতো বিপর্যয়ের মুখোমুখি না হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে তুরস্কের সামরিক বাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য অভ্যুত্থানচেষ্টা চালায়। ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে তারা। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন থেকে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এরদোয়ানের আহ্বানে হাজারো মানুষ রাজপথে নেমে তাদের সেই চেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়। নিহত হন কমপক্ষে দুই শতাধিক মানুষ। আহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়। ব্যর্থ অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ সহস্রাধিক সেনাসদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। পুরো ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন এবং তার অনুগত সেনা কর্মকর্তাদের দায়ী করেন এরদোয়ান।