পরমাণু চুক্তি নিয়ে মুখ খুললো ইরান

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-তে ইরানের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের চুক্তি করা সম্ভব নয়। মঙ্গলবার রাতে নিউ ইয়র্কে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকে এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

তিনি বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে এ কথা প্রমাণ করতে হবে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার নিউ ইয়র্কে পৌঁছান রাইসি।

ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ইরান পাশ্চাত্যের সঙ্গে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই চুক্তি চায়। তবে সেজন্য তেহরানের বিরুদ্ধে আইএইএতে আনা ভিত্তিহীন অভিযোগগুলোর ইতি টানতে হবে।

পরমাণু সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়ারও সমালোচনা করেন ইব্রাহিম রাইসি। তিনি বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থেকে বের হয়ে ইরানের সঙ্গে করা চুক্তির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারেনি। কাজেই ওয়াশিংটন যাতে আবার পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যেতে না পারে সেজন্য সম্ভাব্য চুক্তিতে তাদের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রাখতে হবে। ইরান এ ব্যাপারে যে গ্যারান্টি চায় সেটি অযৌক্তিক নয়।

তেহরানের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় ফ্রান্সসহ তিন ইউরোপীয় দেশ সম্প্রতি আইএইএতে ইরানের বিরুদ্ধে যে বিবৃতি দিয়েছে সেটিরও তীব্র সমালোচনা করেন রাইসি। তিনি বলেন, এ ধরনের অগঠনমূলক কাজ করে চুক্তির আশা করা বাতুলতা ছাড়া আর কিছু নয়।

বৈঠকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট চলমান পরমাণু আলোচনার ব্যাপারে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। তিনি স্বীকার করেন, ইরান পরমাণু সমঝোতা পুরোপুরি মেনে চলছে বলে আইএইএ নিশ্চিত করার পরও ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন একতরফাভাবে এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যায়। ইউরোপও যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে এটি বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়।

ইরানের প্রেসিডেন্টকে প্যারিস সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার সুযোগগুলো উভয় দেশেরই কাজে লাগানো উচিত। সূত্র: পার্স টুডে।