ইরানে দশম রাতের মতো বিক্ষোভ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১

নিরাপত্তা হেফাজতে মাহশা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। রবিবার টানা দশম রাতের মতো রাজপথে নামে আন্দোলনকারীরা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সাম্প্রতিক অস্থিরতা শুরুর পর থেকে অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছে।তবে সূত্র বলছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের বেশিরভাগই বিক্ষোভকারী হলেও নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্যও রয়েছে।

নরওয়েভিত্তিক গ্রুপ ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) রবিবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫৭। তবে চলমান ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের ফলে সব জায়গায় আলাদা করে হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত করা কঠিন।

আইএইচআর  কর্তৃক প্রকাশিত ছবিতে রবিবার রাতে তেহরানের রাজপথে বিক্ষোভকারীদের ‘স্বৈরশাসক নিপাত যাক’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের খবরে বলা হয়েছে, এদিন তেহরানের রাজপথে সরকারপন্থিরাও পাল্টা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। এতে অংশ নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। বিক্ষোভকারীরা ‘বিদেশিদের মদদে’ দেশে অস্থিরতার তৈরির প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধেও আওয়াজ তোলে তারা।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী কুর্দি নারী মাহশা আমিনি (২২) ইরানের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে দেশটির কঠোর পোশাকবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নৈতিকতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি অজ্ঞান হয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটিতে কঠোর পোশাকবিধি বাতিল এবং নারীদের অবাধ চলাচলের স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়।