সিরিয়ায় তুরস্কের বিমান হামলা মার্কিন সেনাদের জন্য হুমকি: পেন্টাগন

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি ওয়াইপিজির বিরুদ্ধে তুরস্কের বিমান হামলা মার্কিন সেনাসহ সামরিক কর্মীদের নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলেছে। পাশাপাশি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসএসের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর চলা অভিযানে যে অগ্রগতি হয়েছে তা বিপন্ন করে তুলেছে বলে দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের।

এর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি ওয়াইপিজির বিরুদ্ধে বিমান হামলা সূচনামাত্র এবং সুবিধাজনক সময়ে পদাতিক অভিযান শুরু করবে তুর্কি বাহিনী। বুধবার এই মন্তব্য করেন তিনি।

এরপরই পেন্টাগনের মুখপাত্র বিমান বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার বিবৃতিতে বলেন, সিরিয়ার সাম্প্রতিক বিমান হামলা মার্কিন কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। যারা সিরিয়ার স্থানীয়দের সঙ্গে আইএসকে পরাজিত করতে এবং দশ হাজারেরও বেশি আইএস বন্দীদের হেফাজতে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের ‘বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগকে’ স্বীকার করে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তিনি।

সিরিয়ায় প্রায় ৯০০ মার্কিন মার্কিন সেনা রয়েছে। দেশটির উত্তর-পূর্বে আইএসের সবশেষ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ওয়াইপিজির নেতৃত্বে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এর সঙ্গে কাজ করছে তারা।

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি সশস্ত্র বাহিনী ওয়াইপিজির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে তুরস্ক। আঙ্কারা ওয়াইপিজি বা পিপল’স প্রটেকশন ইউনিটকে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-এর শাখা বলে মনে করে। সম্প্রতি ইস্তাম্বুলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কুর্দি এবং আইএস জড়িত রয়েছে বলে দাবি করছে আঙ্কারা।

সূত্র: আল জাজিরা