এক যুগ পর সিরিয়া সফরে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রায় ১২ বছর পর সিরিয়া সফরে গেছেন শীর্ষ মিসরীয় কোনও কর্মকর্তা। মিসরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরির এই সফরকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে আরব রাষ্ট্রগুলোর উষ্ণ সম্পর্কের আরেকটি চিহ্ন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা (সানা) বলছে, দামেস্ক বিমানবন্দরে সোমবার শৌকরিকে অভ্যর্থনা জানান সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মেকদাদ।

৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের পর, সিরিয়ার জন্য আরবদের দারুণ সমর্থন দেখা গেছে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় সেদিন ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সিরিয়ায় অন্তত ৫ হাজার ৯০০ মানুষ প্রাণ হারায়। হতাহতদের বেশিরভাগই বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দা। ভূমিকম্পের পরদিন ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো আল-আসাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।

মিসর পার্লামেন্টের স্পিকার হানাফি আল-গেবালিসহ আরব সংসদীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল রবিবার দামেস্কে আল-আসাদের সঙ্গে দেখা করেন।

এর আগে ভূমিকম্পের পর দামেস্ক সফর করেন জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান আর সাফাদি। সাফাদিকে কিছু দিন আগেও আসাদ-বিরোধীদের সমর্থন দিতে দেখা গেছে। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো দামেস্ক সফর করেন সাফাদি।

সিরিয়ায় ২০১১ সালে বিক্ষোভের বিরুদ্ধে আসাদের মারাত্মক ক্র্যাকডাউনের পর সিরিয়া মূলত বাকি আরব বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আরব লীগ একই বছর সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করে। অনেক আরব দেশ তাদের দূতদের দামেস্ক থেকে প্রত্যাহার করে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত বেশ কয়েক বছর আগে প্রথম আরব রাষ্ট্র হিসেবে আসাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শুরু করেছিল। ভূমিকম্পের পর থেকে সিরিয়ায় বিপুল সাহায্য ঢেলে দিয়েছে আবুধাবি। শুধু তাই নয়, সিরিয়ায় ত্রাণ বহনকারী বিমানও পাঠিয়েছে সৌদি আরব। সূত্র: রয়টার্স