ইরানে দুই জার্মান কূটনীতিক বহিষ্কার

তেহরান-বার্লিনের সম্পর্ক আরও তলানিতে পৌঁছাল। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এবার দুই জার্মান কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বুধবার এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেছেন, জার্মান সরকারের সাম্প্রতিক হস্তক্ষেপমূলক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপের জবাবে দুই কূটনীতিককে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কানানি বলেন, ‘সব সময় সহযোগিতামূলক আচরণে জোর দেয় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। তবে কেউ যদি আমাদের দেশের মৌলিক নীতি এবং জাতীয় শাসনকে উপেক্ষা করতে চায়, তবে নতুন বিকল্প সংজ্ঞায়িত করা অনিবার্য। জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।’

তেহরানে এক ইরানি-জার্মান নাগরিকের সাজার প্রতিক্রিয়ায় জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বার্লিনে ইরানি দূতাবাস থেকে দুই কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। এর কয়েকদিন পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

ইরানি বংশোদ্ভূত জার্মান ওই নাগরিকের নাম জামশিদ শারমাহদ। ইরানের একটি আদালত তাকে ‘পৃথিবীতে দুর্নীতি’ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে। এর সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড।

ইরান বলছে, শারমাহদ মার্কিনভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতা। ২০০৮ সালে একটি মসজিদে বোমা হামলায় ১৪ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হওয়ায় ঘটনায় তিনি জড়িত। শারমাহদ এবং সঙ্গীরা ইরানের বিরোধী দলগুলোকে সমর্থন করে বিদেশে টেলিভিশন চ্যানেল চালায়। ইরানের আদালত হামলা পাশাপাশি ইরানজুড়ে আরও ‘সন্ত্রাসী’ অভিযানের পরিকল্পনার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি।

তবে শারমাহদের পরিবারের দাবি, তিনি নির্দোষ। তারা জানায়, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের মাধ্যমে শারমাহদকে তারা জেলে দেখতে পায়। সবশেষ পরিবারের সঙ্গে দুবাই থেকে তিনি কথা বলেছিলেন।   

জার্মানি তার সাজাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে নিন্দা করে তার মুক্তির আহ্বান জানিয়েছিল।

নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে এক নারীর মৃত্যুর প্রতিবাদে গত সেপ্টেম্বরে ইরানজুড়ে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তা নিয়ে তেহরান এবং বার্লিনের মতবিরোধ দেখা দেয়। বিক্ষোভকে সমর্থন এবং ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য জার্মানির নিন্দা করে আসছে তেহরান। সূত্র: আল জাজিরা