সিরিয়ায় বিরল সফরে শীর্ষ মার্কিন জেনারেল

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়ায় প্রায় আট বছর ধরে মার্কিন সেনা মোতায়েনকে এখনও ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন শীর্ষ মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা মার্ক মিলি। সিরিয়ায় উত্তর-পূর্বে শনিবার মার্কিন সেনাদের সঙ্গে একটি ঘাঁটিতে দেখা করার পর এ মন্তব্য করেন মিলি।

জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি আইএসের পুনরুত্থান প্রতিরোধের প্রচেষ্টা মূল্যায়ন করার পাশাপাশি ড্রোনসহ বিভিন্ন হামলার বিরুদ্ধে আমেরিকান বাহিনীর সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে সিরিয়ায় উড়ে আসেন।

২০১৪ সালে ইরাক ও সিরিয়ায় ‘কথিত খেলাফত’ ঘোষণা করা আইএস অবশ্য এখন আগের অবস্থানে নেই। তারপরও দেশ দুটিতে এখনও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছটিয়ে আছে জঙ্গিরা।  

এ ছাড়া হাজার হাজার আইএস যোদ্ধা কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের সুরক্ষিত কেন্দ্রে বন্দী আছেন। এই কুর্দিরা সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র।  

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, আইএস এখনও বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

জেনারেল মার্ক মিলি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সেনাদের জন্য সিরিয়া এখনও নিরাপদ না। এখানে অবশ্যই ঝুঁকি আছে। আমরা এই অঞ্চলে আইএসের মতো জঙ্গি সংগঠনের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকা না পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’

গত মাসে আইএসের একটি হেলিকপ্টার হামলায় ৪ মার্কিন সেনা আহত হয়েছিলেন। এ ছাড়া গত মাসে মার্কিন সামরিক বাহিনী সিরিয়ায় ইরানের তৈরি একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছিল। এটি উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার একটি টহল ঘাঁটিতে নজরদারি চালানোর চেষ্টা করছিল।

সিরিয়ার আল-তানফ অঞ্চলে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে জানুয়ারিতে তিনটি ড্রোন হামলা হয়। মার্কিন সামরিক বাহিনী বলছে, দুটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। অন্যটি তাদের কম্পাউন্ডে আঘাত হেনেছে। এতে সিরিয়ার ফ্রি আর্মি বাহিনীর দুই সদস্য আহত হন।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা হামলাগুলো পরিচালনা করছে।

মার্কিন সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল ম্যাথু ম্যাকফারলেন ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি এসব হামলাকে তিনি মিশন থেকে দৃষ্টি এড়ানোর ষড়যন্ত্র বলে বর্ণনা করেছেন।

ইসলামিক স্টেটের অবশিষ্টাংশের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের কথাও মনে করিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার হলো আইএসের চূড়ান্ত পরাজয়। আমরা সে লক্ষ্যে এগোচ্ছি।’