ইরাকে মদ নিষিদ্ধকে অগণতান্ত্রিক বলছেন বিরোধীরা

ইরাকে অ্যালকোহল আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধ করার আইন বাতিলে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন দেশটির খ্রিস্টান রাজনীতিবিদরা। বিরোধিতা সত্ত্বেও গত মাসে এটি আইনে পরিণত হয়। শনিবার থেকে আইনটি কার্যকর করার নির্দেশ পেয়েছেন শুল্ক কর্মকর্তারা।

ইরাকের পার্লামেন্টে এই বিরোধীদের ৫টি আসন রয়েছে। আইনটিকে অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে তারা আইনের আশ্রয়ও নিয়েছেন।

মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে ইরাকে অ্যালকোহল সেবনে কড়াকড়ি আরোপ আছে। তবে মদের দোকান কিংবা নিবন্ধিত পানশালা থেকে মদ কেনা যায়। নতুন আইনের ফলে, সে ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যাবে।

২০১৬ সালে পার্লামেন্টে পাস হওয়া আইনটি কেউ অমান্য করলে ২৫মিলিয়ন ইরাকি দিনার পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করা হবে। আইনটি কতটা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে তা এখনও অনিশ্চিত। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে এটিকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

বিরোধীরা আইনটিকে অসাংবিধানিক উল্লেখের পেছনে যুক্তি হিসেবে বলে, এটি সংখ্যালঘুদের অধিকারকে উপেক্ষা করে। স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করে তোলে।

ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বাসিন্দা সারমাদ আব্বাস বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার ফলে কালোবাজারে অ্যালকোহল বিক্রি হবে।’

তিনি বলেন, ‘ইসালামে মদ পান নিষিদ্ধ। তবে এগুলো ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। নাগরিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অধিকার সরকারের নেই।’ 

সূত্র: বিবিসি