ইরাকে মার্কিন সেনা মোতায়েন থাকবে: পেন্টাগন প্রধান

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন মঙ্গলবার অঘোষিত ইরাক সফরে বাগদাদ পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ইরাকে মার্কিন সেনা মোতায়েন রাখতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বিরুদ্দে লড়াই অব্যাহত রাখবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের আক্রমণের ২০ বছর পূর্তির আগে বাগদাদে এই অঘোষিত সফরে গেলেন পেন্টাগন প্রধান। ওই আক্রমণে ইরাকের হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি, সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত এবং আইএসের উত্থানের পথ সুগম করেছিল।

২০১১ সালে ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তিন বছর পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরাক ও প্রতিবেশী সিরিয়াতে কয়েক হাজার সেনা পাঠান আইএসবিরোধী লড়াই জোরদার করার জন্য।

বর্তমানে ইরাকে আড়াই হাজার এবং সিরিয়ায় ৯০০ মার্কিন সেনা স্থানীয় বাহিনীকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছে আইএসবিরোধী লড়াইয়ে। ২০১৪ সালে আইএস এই দুই দেশের বিশাল ভূখণ্ড দখল করেছিল। ২০১৭ সালে ভূখণ্ড হারালেও সিরিয়া ও ইরাকে আইএস যোদ্ধারা এখনও হামলা চালাচ্ছে। গত কয়েক মাসে তাদের হামলায় বেশ কয়েকজন ইরাকি সেনা নিহত হয়েছে।

বাগদাদে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের মনোযোগ হলো আইএসকে পরাজিত করতে, এখানে আমাদের অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই। মার্কিন সেনাদের ওপর যেকোনও হুমকি বা হামলা এই মিশনের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা হবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের মধ্যে ইরাক সফর করা কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র হলে অস্টিন।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-সুদানি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাবেত মোহাম্মদ আল-আব্বাসির সঙ্গে বৈঠকের সাংবাদিকদের অস্টিন বলেন, ইরাক সরকারের আমন্ত্রণে ইরাকে অবস্থানে প্রস্তুত মার্কিন সেনারা। ইরাকের নেতৃত্বাধীন জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে উপদেষ্টার ভূমিকায় রয়েছে মার্কিন সেনারা, লড়াইয়ের জন্য নয়।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আইএসবিরোধী লড়াইয়ে দুই দেশের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।