প্রেসিডেন্টের আপস প্রস্তাবে নারাজ নেতানিয়াহু

প্রায় দশ সপ্তাহ ধরে চলমান বিক্ষোভ থামাতে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জগের সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আপস প্রস্তাব প্রত্যাখানের পর বিচার ব্যবস্থার সংস্কারবিরোধী আন্দোলন আরও গতি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ইসরায়েলের বিচারব্যবস্থার সংকট হ্রাসে সমঝোতার প্রস্তাব করেছিলেন প্রেসিডেন্ট হার্জগ। দেশটির পার্লামেন্টের হাতে সব ক্ষমতা না রেখে বিচারক নির্বাচক কমিটিতে তিনজন মন্ত্রী, হাই কোর্টের প্রেসিডেন্ট, দুজন বিচারক এবং দুজন সরকারি কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি।

হার্জগের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন নেতানিয়াহু। দেশটির ক্ষমতাসীন জোটও প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবকে সমর্থন করেনি। ইসরায়েল সরকারের সচিব ইয়োসি ফুকস এক টুইটার বার্তায় এ কথা জানান। 

নেতানিয়াহু হার্জগের এই প্রস্তাব নাকচ করার পর বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীরা জেরুজালেম থেকে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দিকে এক বিশাল লাল রঙের রেখা আঁকে এবং ছোট ছোট নৌকা দিয়ে উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফার উপকূল অবরোধ করে রাখে।

সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা হ্রাসে নেতানিয়াহহু সরকারের পরিকল্পিত সংস্কার কর্মসূচির বিরুদ্ধে দেশটির পশ্চিমা মিত্ররাও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে হার্জগের প্রস্তাবিত সমঝোতার বিষয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটি শুধু বিদ্যমান পরিস্থিতিকেই স্থায়ী করবে।’

বিচার ব্যবস্থায় সংস্কারের বিষয়ে নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারের বৃহত্তর প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং আইন প্রণয়নে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা সীমিত হবে। আইনমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিনের মতে, সংস্কারের ফলে দেশটির পার্লামেন্ট এবং বিচারক নির্বাচক কমিটির ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

ইসরায়েলের ইতিহাসে অন্যতম বড় বিক্ষোভ এটি। বুধবার (১৫ মার্চ) দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বার্লিনের উদ্দেশে যাত্রা করতে বিমানবন্দরে গেলে শতাধিক বিক্ষোভকারী তার পথরোধ করে।