যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডানের মধ্যস্থতায় মিসরে বৈঠকে বসছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন

বৈরিতা অবসানে মিসরে বৈঠক বসছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ)। এতে অংশ নিচ্ছে মিসর, যুক্তরাষ্ট্র এবং জর্ডানের কর্মকর্তারাও। মিসরের রিসোর্ট শহর শার্ম আল-শেখে রবিবার এই বৈঠক হবে।  

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে মুসলমানদের পবিত্র মাস রমজান। এ মাস ঘিরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘাত বন্ধ রাখতেই কূটনৈতিক এ তৎপরতা চলছে বলে জানা গেছে।  

গত এক বছরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের দূরত্ব আরও বেড়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ঘন ঘন অভিযান এবং বিনা বিচারে হত্যায় ফিলিস্তিনিদের ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে। গত বছর ইসরায়েলে চরম ডানপন্থি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আসলে আগ্রাসন বাড়ে।     

মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, একতরফা কর্মকাণ্ড ও উত্তেজনা বন্ধে সমঝোতায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে আলোচনা হচ্ছে। শান্তিপ্রক্রিয়া পুনরায় শুরুর জন্য উপযুক্ত একটি পরিবেশ তৈরিতে এ আলোচনা সহায়ক হতে পারে।

ফিলিস্তিনের শীর্ষ কর্মকর্তা হুসেইন আল-শেখ বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার অধিকার রক্ষার পাশাপাশি আমাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করব। আমাদের রক্ত, জমি, সম্পত্তি এবং পবিত্রতা লঙ্ঘন করে এমন সব পদক্ষেপ যেন ইসরায়েল আর না নেয়, সে বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।’

ইসরায়েলি মিডিয়াগুলো বলছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবি ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সঙ্গে থাকবেন গোয়েন্দা প্রধান রনেন বার এবং সামরিক জেনারেল ঘাসান আলিয়ান।

এদিকে, পিএ পরিচালনাকারী ফাতাহ ছাড়া ফিলিস্তিনের বাকি সব রাজনৈতিক দল আলোচনার বিরোধিতা করে বৈঠক বয়কটের ডাক দিয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা শাসনকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলছে, শার্ম আল-শেখ সম্মেলন প্রত্যাখ্যান করেছে তারা।

হামাসের মুখপাত্র মুসা আবু মারজুক শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইউরোপীয় ও আমেরিকান কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের দখলদারিত্ব নিয়ে বিবৃতি জারি করলেও ইসরায়েলকে তাদের আগ্রাসন বন্ধ করতে কোনও চাপ দেওয়ার ব্যবস্থা নেয় না।’

একটি যৌথ বিবৃতিতে প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) এবং পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) জানায়, জোর করে শার্ম আল-শেখ সম্মেলনে যোগদান করছে পিএ। জনগণ এর পক্ষে নেই। সূত্র: আল জাজিরা