যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার সিরিয়ায় ইরানের প্রেসিডেন্ট

সিরিয়ায় ২০১১ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবার দামেস্ক পৌঁছালেন ইরানের কোনও প্রেসিডেন্ট। বুধবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে বৈঠক করতে দামেস্ক পৌঁছেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ইরান ও রাশিয়ার সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতায় বিদ্রোহীদের দখলকৃত বেশিরভাগ ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছেন আসাদ। সরকারবিরোধী বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়া আঞ্চলিক দেশগুলোও এখন সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে আগ্রহী হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ও সৌদি আরব দীর্ঘ শত্রুতা ভুলে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সম্মত হওয়ার পর রাইসি এই সফরে আসলেন। ২০১১ বিক্ষোভে দমন-পীড়নের অভিযোগ তুলে সিরিয়াকে বিচ্ছিন্ন করা আরব দেশগুলো ১২ বছরের যুদ্ধের অবসান ও আরব লিগে দেশটির পুনরায় অন্তর্ভুক্তির একটি রূপরেখা তৈরি করছে।

দামেস্ক সফরের আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এই সফর সিরিয়া এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহসহ অন্যান্য মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের ‘একত্রীকরণ ও উন্নয়ন’ করবে।

রাইসির নেতৃত্বে ইরানি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাতে বুধবার দামেস্কর বিমানবন্দর সড়কে ইরান ও সিরিয়ার পতাকা সারিবদ্ধভাবে টানানো হয়েছিল। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন ইরানের তেল, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রাইসির দুই দিনের সফরে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

ইতোমধ্যে সিরীয় সরকারকে ঋণ দিয়েছে এবং টেলিকম ও খনির শিল্পে লাভজনক ব্যবসায়িক চুক্তি পেয়েছে দেশটি। সামরিকভাবে সিরিয়ায় নিজের উপস্থিতি আরও জোরদার করেছে ইরান। ফেব্রুয়ারিতে দামেস্কে ইসরায়েলি রকেট হামলায় ইরানের কয়েকজন সামরিক বিশেষজ্ঞ নিহত হয়েছিলেন। ফেব্রুয়ারির মারাত্মক ভূমিকম্পের পর ত্রাণের চালানের আড়ালে সিরিয়ায় অস্ত্র নিয়ে এসেছে ইরান।

সিরীয় প্রেসিডেন্ট আসাদ কখনো প্রকাশ্যে স্বীকার করেননি গৃহযুদ্ধে ইরানি বাহিনী তার পক্ষে কাজ করেছে। সিরিয়ার দাবি, দেশটিতে শুধু ইরানের সামরিক উপদেষ্টা রয়েছেন।