ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সোমবার বোমাবর্ষণের তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে দেশটির সেনারা গাজায় সীমিত স্থল অভিযান পরিচালনার সময় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। রবিবার দিবাগত রাতে লেবানন সীমান্তে বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। এছাড়া দখলকৃত পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
জাতিসংঘ বলেছে, জীবন রক্ষায় মরিয়া বেসামরিকদের খাবার, পানি ও বিমান হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো নিরাপদ স্থানের অভাব রয়েছে।
মিসর থেকে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে কিছু ত্রাণ প্রবেশ করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম।
গাজা কর্তৃপক্ষ বলছে, দুই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বোমা বর্ষণে অন্তত ৪ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় এই সংঘাতের সূত্রপাত। হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ নিহত ও দুই শতাধিককে জিম্মি করা হয়েছে।
ইসরায়েল ও হামাস রবিবার দিবাগত রাতে সংঘর্ষের কথা জানিয়েছে।
ইসরায়েল বলেছে, ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের মোকাবিলার জন্য তাদের সেনাবাহিনী সীমিত অভিযান চালিয়েছে। আর বিমান হামলা চালানো হয়েছে হামাস যোদ্ধাদের অবস্থানে, যেখানে তারা ইসরায়েলি আক্রমণ প্রতিহত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, অভিযানে ট্যাংক ও পদাতিক সেনারা ছিল। যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া সন্ত্রাসীদের হত্যা করার জন্য এসব অভিযান। আরও গভীরে এসব অভিযান পরিচালনা করা হবে।
তিনি আরও বলেছেন, হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ২২২ জনের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহেরও চেষ্টা ছিল এই অভিযানে।
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে, গাজায় প্রবেশ করা ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে তাদের যোদ্ধারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কিছু সরঞ্জাম ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। পদাতিক সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষ, দুটি বুলডোজার ও একটি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাদের পিছু হটতে বাধ্য করা হয়।
সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংসের বিষয়ে ইসরায়েলের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে সোমবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা গাজায় ৩২০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।