মহাসচিবের মন্তব্যে ক্ষোভ: ‘শিক্ষা দিতে’ জাতিসংঘ কর্মীকে ভিসা দেয়নি ইসরায়েল

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মন্তব্যের কারণে সংস্থাটির মানবিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিতকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইসরায়েল। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত গিলাদ এরডান বলেছেন, বৈশ্বিক সংস্থাটিকে শিক্ষা দেওয়ার সময় এসে গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিওকে গিলাদ এরডান বলেছেন, মহাসচিবের মন্তব্যের জন্য আমরা জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানাব। আমরা ইতোমধ্যে মানবিক সহযোগিতা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন গ্রিফিতের ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছি। তাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার সময় হয়েছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মঙ্গলবার গুতেরেস বলেছিলেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা কোনও কারণ ছাড়া হয়নি। ফিলিস্তিনিরা ৫৬ বছর ধরে শ্বাসরুদ্ধকর দখলদারিত্বের শিকার। তারা তাদের ভূখণ্ডকে বসতিতে পরিণত হতে দেখেছেন। তাদের অর্থনীতি রুদ্ধ, তাদের মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং তাদের বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের দুর্ভোগের অবসানের রাজনৈতিক সমাধানের আশাবাদ ম্লান হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেছিলেন, ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ ইসরায়েলে হামাসের হামলার ন্যায্যতা দেয় না। একইভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের সমষ্টিগত শাস্তি দেওয়াকেও যৌক্তিকতা দেয় না হামাসের হামলা।

গুতেরেস বলেছিলেন, অবরুদ্ধ ছিটমহলে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হচ্ছে। আমি স্পষ্ট করছি: সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত কোনও পক্ষ আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

এমন মন্তব্যের পর গুতেরেসের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত। তিনি দাবি করেছিলেন, নাৎসি হামাসের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ নিয়ে মহাসচিবের দৃষ্টিভঙ্গি ‘মর্মান্তিক’।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় এক দিনে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এই হামলার জবাবে দুই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।