কপ-২৮ সম্মেলন

২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষমতাকে তিনগুণ করার পরিকল্পনা

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন(কপ-২৮) এ বিশ্বে  নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষমতাকে  ২০৩০ সালে মধ্যে তিনগুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। শনিবার (০২ ডিসেম্বর) নবায়নযোগ্য শক্তি বাড়ানোর এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১১০টিরও বেশি দেশের সম্মতির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন করার জন্য জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি দশকে বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাস করার লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও কপ-২৮ সম্মেলনের আয়োজক দেশে সংযুক্ত আরব আমিরাত এই প্রস্তাবের সমর্থন জানিয়েছে।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন কপ-২৮ সম্মেলন শুরুর দিন বৃহস্পতিবার নবায়নযোগ্য শক্তির কথা বলতে গিয়ে বলেন, জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে ইতোমধ্যে ১১০টিরও বেশি দেশ যোগ দিয়েছে। উপস্থিত সব দেশকে নবায়নযোগ্য শক্তি বাড়ানোর প্রস্তাব ছাড়াও আরও বিভিন্ন প্রস্তাবের সিদ্ধান্তে গ্রহনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন বা লক্ষ্য অর্জনে সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করবে কিনা সেটাই প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী দিনদিন সৌর ও বায়ুর মতো নবায়নযোগ্য শক্তির স্থাপনা বাড়ছে। কিন্তু এর ক্রমবর্ধমান ব্যয়, শ্রমের সীমাবদ্ধতা ও সরবরাহ করতে সমস্যা হচ্ছে। যার ফলে এ ধরনের প্রকল্পগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছে।

কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে নবায়নযোগ্য শক্তি বাড়ানোর প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত পেতে উপস্থিত প্রায় ২০০ দেশের ঐকমত্য প্রয়োজন। এদিকে ইতোমধ্যে চীন ও ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য শক্তিকে তিনগুণ বাড়ানোর সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কানাডা, চিলি ও বার্বাডোস এই সম্মেলনে রয়েছে।

জাতিসংঘের জলবায়ু কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ (কপ)-২৮ সম্মেলনের উদ্দেশ্য জীবাশ্ম জ্বালানির বৈশ্বিক ব্যবহার ধীরে ধীরে কমানো। কারণ, জ্বালানি উৎপাদনের জন্য কয়লা, তেল ও গ্যাস পোড়ানোর ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে। তাই এই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে।