হামাস সদস্যদের খুঁজে খুঁজে হত্যার হুমকি মোসাদের

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রত্যেক সদস্যকে খুঁজে খুঁজে হত্যা করার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া। বুধবার (০৩ জানুয়ারি) হামাস সদস্যরা যেখানেই থাকুক না কেন খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। বৈরুতে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি হামলায় হামাসের উপপ্রধান নিহত হওয়ার একদিন পর তিনি এ অঙ্গীকার করেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।

হামাসের সদস্যকে খুঁজে বের করাকে ১৯৭২ সালের মিউনিখ গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করে মোসাদের পরিচালক ডেভিড বার্নিয়া বলেন, যেভাবে অলিম্পিক গেমসে ইসরায়েলি ক্রীড়াবিদদের অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের খুঁজে বের করা হয়েছিল সেভাবেই হামাসের সদস্যদেরকে খুঁজে বের করে হত্যা করা হবে।

কিন্তু ১৯৯২ সাল থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসা হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরাল্লাহর প্রতিক্রিয়ার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। কারণ তার মিত্রদের উপর আক্রমণ করা হলে যে কোনও ইসরায়েলের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

আল-অরৌরির মৃত্যুর কারণে ইসরায়েলিদের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ তার নেতৃত্বেই গাজায় কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলা হয়েছে এবং অসংখ্য ইসরায়েলিকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।

আল-অরৌরির মৃত্যুর পর বার্নিয়া বলেন, গাজায় হামাস সদস্যদের সঙ্গে বহু হিসাব নিকাশ রয়েছে। শুধু তাই না, এর পরিকল্পনাকারী ও দূতসহ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সবাইকে মুখোমুখি হতে হবে।

সাবেক মোসাদ প্রধান জেভি জামিরের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে বার্নিয়া  হামাস সদস্য ধরার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, যদিও হামাস সদস্যদের ধরতে একটু সময় লাগবে কারণ মিউনিখে গণহত্যাকারীদেরকেও খুঁজে বের করতে সময় লেগেছিল। তবে তারা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের খুঁজে বের করা হবে।

লেবাননের বৈরুতে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে হিজবুল্লাহ বলেছে, ইসরায়েলকে এর শাস্তি ভোগ করতে হবে। এদিকে এর জবাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাড. ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, যেকোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।