ইসরায়েলের সেনাঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ

ইসরায়েলের উত্তর অংশে সেনাঘাঁটিতে বিস্ফোরক ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। সম্প্রতি দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় হিজবুল্লাহর তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। এর পাল্টা জবাবে হিজবুল্লাহ এই হামলা চালিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

হিজবুল্লাহ জানায়, ইসরায়েলের হামলায় গত সপ্তাহের শেষের দিকে বৈরুতে হামাসের ডেপুটি নেতা সালেহ আল-আরৌরি এবং সোমবার দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর কমান্ডার বিশাম হাসান তাবিল ওরফে জাওয়াদ নিহত হয়েছেন। তাদের প্রতিশোধের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের সাফেদে সেনা সদর দফতরে এই ড্রোন হামলা চালিয়েছে তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ওই কমান্ডারের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল।

হিজবুল্লাহর অভিযানের সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে হামাসের হামলার কারণে শুরু হওয়া যুদ্ধের তিন মাস পর এই প্রথম সংগঠনটি সাফেদে আক্রমণ করেছে। যেটি যুদ্ধবিগ্রহ সীমান্ত থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার (৮ মাইল) দূরে অবস্থিত।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েলের উত্তর অংশে তারা আকাশ হামলা চালিয়েছে। এতে কোনও ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা আহত-নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে হিজবুল্লাহ ঠিক কোথায় হামলা করেছে, তা ‍সুনির্দিষ্ট করে বলেননি এই মুখপাত্র।

মঙ্গলবার এক টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহর উপনেতা নাইম কাসেম বলেছেন, তার দল লেবানন থেকে যুদ্ধ প্রসারিত করতে চায় না। কিন্তু যদি ইসরায়েল এটি সম্প্রসারিত করে, তাহলে ইসরায়েলকে নিরস্ত্র করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া অনিবার্য।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর প্রায় প্রতিদিন লেবাননের সীমান্ত থেকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি চলছে। এই তিন মাস ধরে সীমান্তবর্তী এলাকায় এই সংঘর্ষে লেবাননে হিজবুল্লাহর ১৩৫ যোদ্ধাসহ ১৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে দেশটির ৯ জন সেনাসদস্য ও অন্তত চার জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।