ইরাক-সিরিয়ায় হামলা যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত ভুল: ইরান

ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে তাদের আরেকটি ‘কৌশলগত ভুল’ বলে আখ্যা দিয়েছে ইরান। এই হামলা এ অঞ্চলে উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতাই বাড়াবে বলে রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ার সাতটি এলাকার ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে বেসামরিক নাগরিকসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয় বলে জানিয়েছেন ইরাকি কর্মকর্তারা। এরপর শনিবার ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে নতুন আরেক দফায় যৌথ হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

ইয়েমেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি করে ইরান বলেছে, মার্কিন প্রতিশোধমূলক হামলা এ অঞ্চলে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।

গত সপ্তাহে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী জর্ডানের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নিতেই ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত ও অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। হামলার জন্য ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া জঙ্গি গোষ্ঠীকে দায়ী করে হোয়াইট হাউজ।  

মার্কিন সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরানের বিপ্লবী গার্ডস কর্পস-আইআরজিসি’র কুদস ফোর্স এবং ইরাক ও সিরিয়ার সহযোগী মিলিশিয়াদের ওপর হামলা চালিয়েছে তারা। হামলায় দূরপাল্লার বোমারু বিমানসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন বিমান অংশ নিয়েছিল। সিরিয়ার চারটি ও ইরাকের তিনটি স্থানের ৮৫টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা হয়েছে। তবে ইরানের মাটিতে কোনও হামলা হয়নি বলে জানানো হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দ মতো সময়ে ও স্থানে এই অভিযান চলতে থাকবে। যদিও সহিংসতার দায় না নিয়ে তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য বা বিশ্বের অন্য কোথাও সংঘর্ষ চায় না যুক্তরাষ্ট্র।