মে মাসের মধ্যে গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা আইপিসি’র

জাতিসংঘ সমর্থিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার উত্তরে মে মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হতে পারে। সোমবার (১৮ মার্চ) ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকিশেন (আইপিসি) এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। 

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর অবরুদ্ধ উপত্যকার বেশিরভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গাজার উত্তরাঞ্চলে চলমান সংঘাতের মধ্যে আটকা পড়েছেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ।

আইপিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১১ লাখ হয়েছে। যা গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে পূর্বাভাস রয়েছে। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে এই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘনিয়ে আসার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। একইসঙ্গে তিনি দেশটির বিরুদ্ধে অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

ব্রাসেলসে গাজায় মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত একটি সম্মেলনের উদ্বোধনের সময় বোরেল বলেছিলেন, ‘গাজায় আমরা আর দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে নেই। আমরা এখন দুর্ভিক্ষের মধ্যে রয়েছি যা হাজার হাজার মানুষকে প্রভাবিত করছে।’

৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালালে গাজায় দীর্ঘ যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ইসরায়েলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের ওইদিনের হামলায় প্রায় ১২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এসময় আরও ২৫৩ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় সশস্ত্র যোদ্ধারা। ওই হামলার জবাবে গাজায় ওইদিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত অন্তত ৩১ হাজার ৭২৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৩ হাজার ৬৭৬ জন।