গাজার অনাহার মানবসৃষ্ট :জাতিসংঘ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার অনাহার মানবসৃষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারনি। সোমবার (১৮ মার্চ) কায়রোতে অনুষ্ঠিত একটি সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

গাজা উপত্যকায় টানা ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, সেখানকার এক-তৃতীয়াংশ বা কমপক্ষে ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে সেখানে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতির জন্য ইসরায়েলকে ব্যাপক চাপ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল।

কায়রোতে মিসরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শউকরি সঙ্গে একটি সংবাদ সম্মেলনে লাজারনি বলেছেন, ‘গাজা উপত্যকায় ক্ষুধার প্রভাব ছড়িয়ে পড়া এবং দুর্ভিক্ষের প্রভাবকে রুখতে ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ছোটার একটি প্রতিযোগিতায় নেমেছি আমরা।’

তিনি বলেন, সঠিক রাজনৈতিক সদিচ্ছার মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান করা এবং একে বিপরীতমুখী করা যেতে পারে। একইসঙ্গে গাজায় সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে খাবারের ‘বন্যা’ বইয়ে দেওয়া যেতে পারে।

জাতিসংঘের এই সংস্থার প্রধান আরও বলেছেন, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা করা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ধ্বংসের লক্ষ্যে গাজায় বিমান ও স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এই হামলার সময় ইউএনআরডব্লিউএর ১৫০টিরও বেশি স্থাপনা ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

লাজারিনি বলেন, ‘আমরা এটিও জানি যে আটক হওয়া অনেক কর্মী অত্যন্ত কঠিন তদন্ত, দুর্ব্যবহার এবং অপমানের মধ্য ‍দিয়ে গেছেন।’

গাজার সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে লাজারনির প্রবেশের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়। এ বিষয়ে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমি আজ রাফাহ যেতে চেয়েছিলাম। তবে আমাকে এক ঘন্টা আগে জানানো হয়, সেখানে আমার প্রবেশ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।’

তার এই প্রত্যাখ্যানের সঙ্গে মিসরীয় সরকারের কোনও দায় ছিল না বলে স্পষ্ট করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শউকরি। তিনি বলেছেন, ‘আপনাকে ইসরায়েলি সরকার প্রত্যাখ্যান করেছিল। এরকম উচ্চ পদে অধীনস্ত প্রতিনিধির প্রবেশের প্রত্যাখ্যান একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ।’