কায়রোতে যুদ্ধবিরতির আলোচনা, গাজায় চলছে ইসরায়েলের হামলা

মিসরের কায়রোতে যুদ্ধবিরতির আলোচনা পুনরায় শুরুর হওয়ার দিনেই গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। রবিবার (৩১ মার্চ) ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রবিবার কায়রোতে পৌঁছেছে ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধিদল। গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নেবে দলটি। কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় গাজায় সংঘাতে লিপ্ত দুই পক্ষ পুনরায় আলোচনায় বসছে।

সম্ভাব্য সমঝোতায় ১৩০ জন জিম্মির মধ্যে ৪০ জনের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব রয়েছে। হামাস চায় যেকোনও যুদ্ধবিরতির সমঝোতা হতে হবে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ ও ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের অংশ। কিন্তু ইসরায়েল তাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলছে, তাদের লক্ষ্য হলো হামাসকে নির্মূল করা।

রবিবার এক কর্মকর্তা বলেছেন, কায়রোর আলোচনায় থাকবে না হামাস উপস্থিত থাকবে না। তারা মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে জানতে চায় ইসরায়েল নতুন কোনও প্রস্তাব দিচ্ছে কিনা।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস শহরে ইসরায়েলি সেনারা দুটি প্রধান হাসপাতাল অবরোধ জারি রেখেছে। উপত্যকার মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, রবিবারের ইসরায়েলি হামলায় খান ইউনিসের পাশে বানি সুহাইলাতে ৯ জন এবং মধ্য গাজার আল-মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে ৪ জন নিহত হয়েছেন।

 স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও হামাস মিডিয়া জানিয়েছে, দেইর আল-বালাহতে শুহাদা আল-আকসা হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় কয়েকটি তাঁবুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত চারজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজা সিটির আল শিফা হাসপাতালে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা।। হাসপাতালের আশেপাশের বাসিন্দারা বলেছেন, সেখানকার আবাসিক এলাকাগুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, আল শিফাতে সক্রিয় সেনারা এক বন্দুকধারীকে হত্যা করেছে এবং তার কাছ থেকে অস্ত্র পাওয়া গেছে।

তারা আরও দাবি করেছে, মধ্য গাজায় ১৫ বন্দুকধারী ও খান ইউনিসে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৭৫ হাজার ৯২ জন। আর হামাসের হামলায় নিহত হয়েছে এক হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি।