দূতাবাসে হামলার ঘটনায় আবারও ইসরায়েলকে হুমকি ইরানের

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার আবারও পুনর্ব্যক্ত করেছে ইরান। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাস প্রাঙ্গণে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি হামলায় সাত সেনা কর্মকর্তার দাফনে এই অঙ্গীকার করেছেন ইরানি সামরিক কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে, নিহতদের ছবি ও ব্যানার হাতে দাফন অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন অনেকে। তারা ‘ইসরায়েল নিপাত যাক’, ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ স্লোগান দেন।

নিহতদের মধ্যে ইরানের কয়েকজন সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদের একজন হলেন বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সিনিয়র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি। সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরানি দূতাবাস সফরে ছিলেন তিনি।

দাফন অনুষ্ঠানে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, আমাদের সাহসী মানুষেরা জায়নবাদী শাসকদের শাস্তি দেবে।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলার বিষয়ে বলেছেন, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবশ্যই তা বাস্তবায়ন করা হবে।

তবে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।

এই দাফন অনুষ্ঠান বার্ষিক কুদস (জেরুজালেম) দিবসে আয়োজন করা হয়েছে। সাধারণত দিনটিতে ফিলিস্তিনপন্থি ও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ও মিছিল আয়োজন করা হয়।

ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের নেতা জিয়াদ আল-নাখালা তেহরানে আয়োজিত একটি মিছিলে অংশ নিয়েছেন।

গত বছর ডিসেম্বরের পর থেকে সিরিয়ায় ধারাবাহিক ইসরায়েলি হামলার মধ্যে সোমবারের হামলাটি ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী ও ভয়াবহ।

হামলার পরপর কঠোর পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইরান। এতে গাজায় চলমান যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। ইসরায়েল নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। সেনাবাহিনীর লড়াইয়ের ইউনিটগুলোর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এর একদিন আগে আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটে সেনা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার বলেছেন, যারাই আমাদের ক্ষতি করবে বা পরিকল্পনা করবে, আমরা তাদের ক্ষতি করবো।

প্রতি বছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবার ইরানে জেরুজালেম দিবস পালিত হয়। ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে দিবসটি পালন করে ইরান।