ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ভ্রমণে কানাডার সতর্কতা

ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীর ভ্রমণে নিজেদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে কানাডা। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) শেষ রাতের দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সতর্কতার কথা উল্লেখ করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

মেলানি জোলি এক্স-এ এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই অঞ্চলগুলোতে অবস্থানরত কানাডার নাগরিকদের বাণিজ্যিক পন্থায় চলে যাওয়ার কথা বিবেচনা করা উচিত।

তিনি লিখেছেন, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার ঝুঁকিবৃদ্ধি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে অস্থিরতা এবং আগাম নোটিশ ছাড়াই পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

এর আগে কানাডার ফেডারেল সরকার কানাডীয়দের অঞ্চলটিতে প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিল।

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি মনে করেন, দেরি না করে অবিলম্বে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান। ইসরায়েলে হামলা না করতে তেহরানকে সতর্ক করেছেন তিনি।

১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেট ভবনে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সাত সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এদের মধ্যে একজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার ছিলেন। তেহরান এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

ইতোমধ্যে ইরানি হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলে নিজেদের দূতাবাসের কূটনীতিক ও কর্মীদের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফ্রান্স দেশটির নাগরিকদের আসন্ন দিনগুলোতে ইরান, লেবানন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ভ্রমণ না করতে সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছে। ইরানের ফরাসি দূতাবাসের কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর আগে রাশিয়া ও ভারত নিজেদের নাগরিকদের এসব দেশ ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছিল।