জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস

গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তিতে যেতে আগ্রহী হামাস। কিন্তু স্থায়ী যুদ্ধবিরতিসহ তাদের শর্তগুলো আগে পূরণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য খলিল আল-হাইয়া। বৃহস্পতিবার আল জাজিরা টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

খলিল আল-হাইয়া জানিয়েছেন, তারা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক। কারণ বন্দিবিনিময় চুক্তি অনুযায়ী এতে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি হাজার হাজার ফিলিস্তিনিরাও মুক্তি পাবে।

কিন্তু গাজা উপত্যকা ছেড়ে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া কোনও চুক্তিতে যাবে না তারা।

তিনি আরও বলেছেন, গত ১৩ এপ্রিল তাদের শর্তগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জমা দিয়েছে হামাস। এখন তারা ইসরায়েল ও মধ্যস্থতাকারী পক্ষগুলোর কাছ থেকে উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছে।

অবরুদ্ধ রাফাহ শহরে ফিলিস্তিনিদের নিঃশর্ত প্রত্যাবর্তন, গাজার পুনর্গঠন ও জিম্মি মুক্তির শর্তও ছিল হামাসের চারটি শর্তের মধ্যে। অবশ্য হামাসের দাবিকে ভ্রান্তিমূলক বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। তাদের মতে, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার যুদ্ধে হেরে যাওয়ার শামিল।

উভয় পক্ষ নিজেদের দাবিতে অটল থাকায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে। অচলাবস্থা নিরসনে মিসর, ইসরায়েল ও মার্কিন কর্মকর্তারা বুধবার বৈঠক করেছেন। শুক্রবার কায়রোতে মিসর ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা।