গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির মূল শর্তগুলো কী?

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, চুক্তি চূড়ান্ত করার আগে ফিলিস্তিনি বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

হামাসের ভাষ্য অনুযায়ী, দোহার আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে গোষ্ঠীগুলোর নেতাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তারা সামগ্রিক জাতীয় প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

মধ্যস্থতাকারী কাতার জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং শিগগিরই একটি চুক্তি ঘোষণা করা হতে পারে।

দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি খসড়া চুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। প্রধান বিতর্কিত বিষয়ের বেশিরভাগ সমাধান হয়েছে।

ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কেএএন জানায়, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের জন্য ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা মঙ্গলবার বৈঠক করতে পারে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, চুক্তির প্রথম পর্যায়ে অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনও বিস্তারিত চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

মিসরীয় সূত্রগুলো আল-আরাবি আল-জাদিদকে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত হলে রাফাহ সীমান্ত খুলে জিম্মি বিনিময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে মিসর।

হামাস-সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনি সূত্র বলছে, চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েল প্রায় ১ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে এবং গাজার বন্দি শিবির থেকে ৩৩ জন জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। ইসরায়েলি সরকার জানিয়েছে, প্রথম ধাপে কয়েকশ বন্দি মুক্তি পাবে।

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, চুক্তির প্রথম ধাপে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এই সময় ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নেবে।

চুক্তির খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রথম ধাপে নারী, শিশু, গুরুতর আহত ব্যক্তি এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সী বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।

আরব সংবাদমাধ্যম আশারক আল-আওসাত জানায়, সোমবার রাতে সেনা পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা সীমান্ত থেকে ৭০০ মিটার পর্যন্ত ভিন্ন দূরত্বে অবস্থান করবে। ৪০ দিন পর ধাপে ধাপে তাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার শুরু হবে।

সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড