মার্কিন রণতরী ও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি হুথিদের

ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের একটি বিমানবন্দর ও সেনাঘাঁটির পাশাপাশি মার্কিন একটি বিমানবাহী রণতরীতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার হুথিদের এই দাবির কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েল জানিয়েছিল, ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের আকাশসীমায় প্রবেশের আগে ধ্বংস করা হয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। 

হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে বলেছেন, তারা তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর ও একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এছাড়া লোহিত সাগরে অবস্থানরত মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুমানকে লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জেরুজালেমসহ বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এরপর ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়। 

গত ১৫ মার্চ মার্কিন সেনাবাহিনী হুথিদের লক্ষ্য করে বড় আকারের বিমান হামলা চালায়। এর জবাবে হুথিরা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে জাহাজ চলাচলের পথে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল। এরপর থেকে হুথি-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই মার্কিন বিমান হামলা চলছে। 

হুথিদের দাবি, সানার কাছে রাতের বিমান হামলায় দুই নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। তারা এই হামলার দায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপিয়েছে। হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরা টিভি জানিয়েছে, সানা গভর্নরেটের উত্তর ও দক্ষিণে প্রায় ২০টি হামলা চালানো হয়েছে। 

এদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথি অবস্থানগুলোতে তারা প্রতিদিনই বিমান হামলা চালাচ্ছেন। গাজা যুদ্ধের সমর্থনে গত বছর থেকে হুথিরা লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছিল। গত জানুয়ারিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে তারা এই অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত রাখে। তবে সম্প্রতি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অবরোধের প্রতিবাদে তারা আবার হামলা শুরু করার হুমকি দেয়। 

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই ইয়েমেনে প্রথম মার্কিন বিমান হামলা। হুথিরা ইতোমধ্যে ইয়েমেন উপকূলে অবস্থানরত ট্রুমান ক্যারিয়ার গ্রুপের ওপর একাধিক হামলা ও ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দায় স্বীকার করেছে।