যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর লিবিয়ায় সংঘর্ষ কমছে

লিবিয়ার রাজধানীতে চলমান সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ কমে এসেছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপোলির বাসিন্দারা। সরকারের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর বুধবার (১৪ মে) থেকে সংঘর্ষ কমে আসে। তবে কতজন নিহত হয়েছে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও বক্তব্য দেওয়া হয়নি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সোমবার গভীর রাতে একজন প্রধান মিলিশিয়া নেতাকে হত্যার পর সংঘর্ষ শুরু হয়। মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও রাতভর আবারও তীব্র লড়াই ছড়িয়ে পড়ে, যা পুরো শহরজুড়ে বড় ধরনের সংঘর্ষে রূপ নেয়।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিয়মিত বাহিনী সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে শান্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে।

সোমবারের সংঘর্ষে ‘গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ইউনিটির প্রধানমন্ত্রী এবং তুরস্কের মিত্র আবদুলহামিদ আল-দ্বেইবাহরের ক্ষমতা আরও দৃঢ় হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

তবে ত্রিপোলির মধ্যে যদি দীর্ঘমেয়াদি সংঘর্ষ শুরু হয়, তাহলে তা রাজধানীর বাইরে থেকে নতুন নতুন গোষ্ঠীকে জড়িয়ে ফেলতে পারে। এর ফলে লিবিয়ার বহু সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীলতা ভেঙে বড় ধরনের সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে।

বুধবারের মূল সংঘর্ষ হয় দ্বেইবাহঘনিষ্ঠ ৪৪৪ ব্রিগেড এবং ‘স্পেশাল ডিটারেন্স ফোর্স’-এর মধ্যে, যারা ত্রিপোলির শেষ বড় সশস্ত্র গোষ্ঠী।

দ্বেইবাহ মঙ্গলবার তথাকথিত ‘অবৈধ সশস্ত্র গোষ্ঠী’ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। এই ঘোষণাটি আসে সোমবার প্রধান মিলিশিয়া নেতা আবদুলঘানি কিকলি নিহত হওয়ার পর।