সৌদি-ইরান দ্বন্দ্বে তেল উৎপাদন কমানো নিয়ে অনিশ্চয়তা

ওপেক এবং ওপেক বহির্ভূত তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে এক আলোচনা শেষ মুহূর্তে কোনও সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। রবিবার কাতারে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা নতুন মোড় নিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।

তেল উৎপাদনকারী এসব দেশের তেলমন্ত্রীরা কাতারের আমি শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে বৈঠক করেন। গত কয়েক মাস ধরে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য উৎপাদন স্থির রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছেন কাতারের আমির।

আরও খবর: যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বিক্রি করে দেওয়ার হুমকি সৌদি আরবের
দুটি সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানায়, বৈঠকে সৌদি সব ওপেক সদস্যকে এ আলোচনা অংশগ্রহণ করতে হবে বলে মত দেয়। যদিও এর আগে সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান তেল উৎপাদন কমানোর বিষয়ে রাজি না হওয়ার কথা জানিয়েছে।

তেল উৎপাদনকারীদের জন্য উৎপাদন কমিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলেও আন্তর্জাতিক সরবরাহের ক্ষেত্রে এ প্রভাব খুব কম পড়বে। ২০১৭ সালের আগে তেলের বাজার স্থিতিশীল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এনার্জি এজেন্সি।

আরও পড়ুন: গুয়ানতানামো কারাগারের ৯ ইয়েমেনি বন্দিকে সৌদি আরবে স্থানান্তর

ওপেক সূত্র মতে, সকালে সৌদি আরবই সবকিছু পাল্টে দেয়। তারা চায় সব ওপেক সদস্যকে একমত হতে হবে।
গত ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ওপেক ও এর বহির্ভূত তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো বৈশ্বিক চুক্তিতে একমত না হওয়ায় প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা ও তেলের মূল্য পুনরুদ্ধারে ব্যর্থতা চলমান থাকবে।
সৌদি আরবের ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, যদি ইরানসহ অপর সব প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ উৎপাদন কমাতে রাজি হয়, তাহলে সৌদি আরবও তা করবে।

ওপেক ও এর বহির্ভূত বেশ কয়েকটি তেল রফতানিকারক দেশের বিভিন্ন সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে দোহাতে বৈঠকে সম্মত হয়েছিল। তবে আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ইরানের উপস্থিতি।

আজকের আরও খবর: নতুন টিকায় পোলিওমুক্ত হতে যাচ্ছে বিশ্ব

ইরানের তেলমন্ত্রী বিজান জাঙ্গানেহ শনিবার বার্তা সংস্থা শানাকে বলেছেন, আমরা রাশিয়ার মতো কিছু ওপেক ও এর বহির্ভূত সদস্যকে জানিয়েছি, তেলের বাজারে ইরানের প্রবেশের বাস্তবতার কথা। ইরান যদি তেল উৎপাদন বন্ধ করে তাহলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে কোনও সুবিধা পাবে না।

সূত্র জানায়, বিশেষজ্ঞরা এ সমস্যার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। দোহায় আলোচনার জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব বিতরণ করা হয়েছে। তার সূত্র ধরে রয়টার্স জানিয়েছে, খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে যে উৎপাদন হয়েছে প্রতিমাসে এর বেশি উৎপাদন করা যাবে না। আগামী অক্টোবর পর্যন্ত এ পরিমাণ তেল উৎপাদন করতে হবে। ওই সময় উৎপাদকরা রাশিয়ার সঙ্গে পুনরায় বৈঠকে বসবে তেলের বাজারের মূল্যবৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

/এএ/