ট্রাম্পের সিরীয় যুদ্ধ শুরুর পর বেড়েছে তেলের দাম

nozzle_0সিরিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে।  সিরিয়া তেল রফতানিকারক দেশ না হলেও দেশটির বিমানঘাঁটিতে মার্কিন হামলার পর তেলের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় এ দাম বৃদ্ধি হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, প্রতি ব্যারেল তেলের দাম প্রায় দুই শতাংশ বেড়েছে। মন্দায় থাকায় স্বর্ণের দামও বেড়েছে।

এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলোর সূচক সামগ্রিকভাবে কমলেও কয়েকটি দেশের বাজারের সূচক কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। লন্ডন, ফ্র্যাঙ্কফুর্ট ও প্যারিসের শেয়ার বাজারের সূচকও কমেছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশের খান শেইখুনে চালানো ওই রাসায়নিক গ্যাস হামলায় অন্তত ৮৬ জন নিহত হন। শুরু হয় পারস্পরিক দোষারোপ। এই হামলায় সরকারি বাহিনীকে দুষছে আসাদবিরোধী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা। বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে সিরিয়া সরকার। রাশিয়া দাবি করেছে, বিদ্রোহীরা রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলেছিল। বিমান হামলায় তা বিস্ফোরিত হয়েছে, আসাদ সরকার রাসায়নিক হামলা চালায়নি।

এরপর শুক্রবার ভোর রাতে সিরিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়, ভূমধ্যসাগরে অবস্থান করা যুক্তরাষ্ট্রের দুটি যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টার এবং ইউএসএস রস থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ নিয়ন্ত্রিত ওই বিমানঘাঁটিতে ৫৯টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। হামলায় ৬ জন সিরীয় সেনা এবং ঘাঁটিতে রাখা যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারসহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। সূত্র: বিবিসি।

/এএ/