জরুরি সহায়তা ছাড়া দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে লাখ লাখ মানুষ

একাধিক দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে অবিলম্বে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার ডাক পেয়েছেন বিশ্ব নেতারা। করোনাভাইরাস মহামারি, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈষম্যের কারণে এসব দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বাড়ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে বৈষম্য মোকাবিলায় কাজ করে যাওয়া শত শত গ্রুপ। মঙ্গলবার এসব গ্রুপের পক্ষ থেকে লেখা এক খোলা চিঠিতে বিশ্বের সরকারগুলোকে দুনিয়া জুড়ে চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতি বাড়তে থাকা নিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

দুর্ভিক্ষ এড়াতে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের আহ্বানের সমর্থন জানিয়ে লেখা ওই খোলা চিঠিতে গ্রুপগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, লাখ লাখ মানুষ ক্ষুধার মুখে রয়েছে আর শত শত কোটি পাউন্ডের বিনিয়োগ অবিলম্বে প্রয়োজন।

খোলা চিঠি লেখা সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব ভলিয়ান্টারি এজেন্সিস এংব ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈষম্যের সমন্বিত প্রভাবের সঙ্গে কোভিড-১৯ মহামারি যোগ হয়ে দুনিয়া জুড়ে চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখনই প্রয়োজন মেটানো যাচ্ছে না আর এখনই ব্যবস্থা না নিলে একাধিক দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে।’

এই বছরের শুরুতে ডব্লিউএফপি এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, দুনিয়ার ২৭ কোটি মানুষ পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না। তিন কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের কিনারায় রয়েছে বলেও জানায় তারা। এছাড়া ইয়েমেন, দক্ষিণ সুদান এবং বুরকিনা ফাসোর এক লাখ ৫৫ হাজার মানুষ এখনই দুর্ভিক্ষের মধ্যে কিংবা দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতিতে রয়েছে বলেও জানায় এসব সংস্থা।

মঙ্গলবারের খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, দুর্ভিক্ষ এড়াতে খাদ্য ও কৃষি সহায়তা হিসেব এখনই অন্তত ৫৫০ কোটি ডলার সহায়তা প্রয়োজন। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা, বিশুদ্ধ পানি এবং অন্যান্য জরুরি সেবার জন্য আরও কোটি কোটি ডলার প্রয়োজন।

তবে কেবলমাত্র অর্থ সহায়তাই যথেষ্ট হবে না বলে জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। সংঘাত অবসান এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ তৈরি করতেও সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। এতে বলা হয়, পরিস্থিতির জন্য প্রয়োজন দ্রুত পদক্ষেপ, এমন মাত্রায় যা আমরা আপাত দেখতেন পাচ্ছি না। ব্যবস্থা নেওয়া না হলে প্রাণ হারাবে। এই সমস্যা মোকাবিলার দায় রাষ্ট্রের।