ওমিক্রন মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতেই হবে: ডব্লিউএইচও

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সোমবার (২৯ নভেম্বর) সংস্থাটি জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ বাড়ায় মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে ভ্যারিয়েন্টটি, আর কিছু এলাকায় এর পরিণাম হবে মারাত্মক। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

জাতিসংঘের সংস্থাটি ১৯৪টি সদস্য দেশকে টিকাদানে গতি আনার এবং আক্রান্ত বাড়বে এমনটা ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে। ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘ওমিক্রন অভূতপূর্ব পরিমাণে পরিবর্তিত হয়েছে এবং মহামারির এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ের ওপর সম্ভাব্য প্রভাবের কারণে এসব পরিবর্তনের কয়েকটি উদ্বেগের কারণ। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট সংশ্লিষ্ট সামগ্রিক বৈশ্বিক ঝুঁকি... খুবই বেশি।’

এখন পর্যন্ত ওমিক্রন সংশ্লিষ্ট কোনও মৃত্যুর কথা জানা যায়নি। তবে ভ্যাকসিন গ্রহণে এবং আগের সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠায় পাওয়া সুরক্ষার ওপর ওমিক্রনের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘তীব্রতায় পরিবর্তন না এলেও আক্রান্ত বাড়তে থাকলে স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করতে পারে এবং অসুস্থতা এবং মৃত্যুর হার বাড়িয়ে দিতে পারে। দুর্বল জনগোষ্ঠীর ওপর প্রভাব হতে পারে যথেষ্ট, বিশেষ করে যেসব দেশগুলোতে টিকাদানের হার কম।’

গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। দেশটিতে আক্রান্তের পরিমাণ গুরুতরভাবে বাড়ছে। এরপরই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভ্যারিয়েন্ট। নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক এবং অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে মিলেছে এই ভ্যারিয়েন্ট। এমনকি যেসব দেশ নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে সেসব দেশেও এটি পাওয়া গেছে।

সোমবার জাপান জানিয়েছে, বিদেশিদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেবে তারা। এর আগে ইসরায়েলও এই কঠোরতম পদক্ষেপ নিয়েছে।