যুক্তরাষ্ট্র দাবি না মানলেও আলোচনার পথ উন্মুক্ত রাখলো রাশিয়া

রাশিয়া বলছে, ইউক্রেন ইস্যুতে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগগুলো নিয়ে সমাধান করতে আপাতত ইচ্ছুক নয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে চলমান অচলাবস্থা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও সংলাপের জন্য মস্কোর দরজা খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি।

ইউক্রেনকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর রাখার যে দাবি রাশিয়া তুলেছে তা যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করার পরপরই এমন কথা জানালো রাশিয়া। পুতিনের দেশপশ্চিমা দেশগুলো থেকে পূর্ব ইউরোপে নিরাপত্তার গ্যারান্টি চায়। ইতোপূর্বে রাশিয়া পরিষ্কার করেই বলেছে যে, ইউক্রেনকে কখনোই সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মস্কো লিখিতভাবে চায়। এমনকি সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক এই প্রদেশে ন্যাটোর সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হবে না; এমন প্রতিশ্রুতিও চায় মস্কো। কিন্তু তা প্রত্যাখান করে দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন। তবে সংকট এড়াতে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। 

এমন পরিস্থিতে ইউরোপের চলমান উত্তেজনাকে স্নায়ুযুদ্ধের স্মৃতি মনে করে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র লিখিতভাবে যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তা পর্যালোচনার জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু রাশিয়ার প্রধান দাবিগুলো ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণ না করলেও এখনও আশাবাদী মস্কো।

তিনি বলেন, আমাদের প্রধান দাবিগুলো নিয়ে গুরুত্ব অথবা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে যে তা নয়। তবে আমাদের মূল্যায়ন নিয়ে তাড়াহুড়ো করবো না।

ক্রেমলিনের এমন প্রতিক্রিয়ায় বোঝা যাচ্ছে ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান  সংকট সমাধানে আলোচনার জন্য কূটনৈতিক পথ খোলা রয়েছে।

এদিকে, রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউরোপ থেকে ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহার উত্তেজনা নিরসনে সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারতো। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অ্যালেক্সাই জাইতসেভ বলেন, আমরা পূর্বেও বলেছি যে রাশিয়া কোনও দেশে আক্রমণ করতে চায় না। এমনকি আমাদের দেশের জনগণের মধ্যেও যুদ্ধের ভাবনাকেও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করি। সূত্র: রয়টার্স।