পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টিকে পুরাই বানোয়াট হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অবশ্য দুর্নীতির বিষয়ে সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন পুতিন এবং ক্রেমলিন এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
মস্কোতে পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, যদি এটা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য না হয় তাহলে এটি আরেকটি দায়িত্বজ্ঞানহীন সাংবাদিকতার উদাহরণ। যদি এটা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিযোগ হয় তাহলে এটা স্পষ্ট এর পেছনে কারা রয়েছেন।
অভিযোগ যদি ভিত্তিহীন না হয় তাহলে দুর্নীতির প্রমাণ উপস্থাপন করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
বিবিসির ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মার্কিন রাজস্ব বিভাগের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিষয়াদির দেখভাল করেন অ্যাডাম সাবিন। তিনি জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট যে দুর্নীতিবাজ মার্কিন সরকার এটা বহু বছর ধরেই জানে।
অ্যাডাম সাবিন বলেন, আমরা তাকে দেখেছি তার বন্ধু, ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং যাদেরকে আদতে তিনি বন্ধু মনে করেন না তাদেরকেও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পদশালী করে দিতে। জ্বালানি খাতসহ রাষ্ট্রীয় অন্যান্য ক্ষেত্রে নিজের লোকজনকেই কাজ পাইয়ে দেন তিনি। আমার কাছে এটা দুর্নীতির একটা চিত্র। যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করে বিদ্যুৎ খাতে পুতিনের গোপন বিনিয়োগ রয়েছে।
এরইমধ্যে পুতিনের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সরাসরি দুর্নীতির দায়ে তাকে অভিযুক্ত করার ঘটনা এটাই প্রথম। সূত্র: বিবিসি।
/এএ/