ইউক্রেনে রুশ হামলা ঠেকাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক খসড়া প্রস্তাবে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে রাশিয়া। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে চীন। শুক্রবার এই খসড়া প্রস্তাব পাস না হওয়াকে নিজেদের বিজয় হিসেবে দেখছে পশ্চিমা দেশগুলো। পশ্চিমারা মনে করছে, এর মাধ্যমে রাশিয়ার আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা প্রকাশ হয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আনা ওই প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভারতও। পরিষদের বাকি ১১ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। আশা করা হচ্ছে, এই খসড়া প্রস্তাবটি এখন ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তোলা হবে।
রাশিয়া ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের পর মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদের এক বেপরোয়া, দায়িত্বজ্ঞানহীন স্থায়ী সদস্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিবেশীর ওপর হামলা চালিয়েছে এবং জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে অবজ্ঞা করলেও আমরা সকলেই ইউক্রেন এবং এর জনগণের পেছনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতা রয়েছে রাশিয়ার। এই দেশগুলোর কোনও একটি ভেটো দিলে পরিষদে কোনও প্রস্তাব পাস হয় না।
চীন ভোট দান দেওয়া থেকে বিরত থাকার কয়েক সপ্তাহ আগে জানিয়েছে, বেইজিং ও মস্কোর সহযোগিতার কোনও সীমা নেই। পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে ইউক্রেন, তাইওয়ানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে পরস্পরের পাশে থাকার ঘোষণা দেয় মস্কো ও বেইজিং।
নিরাপত্তা পরিষদের খসড়া প্রস্তাবে সমর্থন না দেওয়া সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাশিয়ার জাতিসংঘ দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া। ওই প্রস্তাবকে তিনি রুশবিরোধী আখ্যা দেন। ভোটাভুটির পর নেবেনজিয়া বলেন, ‘আপনাদের এই খসড়া প্রস্তাব ইউক্রেনীয় দাবার বোর্ডে আরেকটি নৃশংস, অমানবিক পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছু নয়।’
সূত্র: রয়টার্স