প্রমোদতরী মালদ্বীপে সরাচ্ছে রুশ ধনকুবেররা

রাশিয়ার ধনকুবেরদের মালিকানাধীন অন্তত পাঁচটি প্রমোদতরী বুধবার মালদ্বীপে ভেসে বেড়াতে গেছে। ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই। জাহাজ শনাক্তকরণ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে রাশিয়ার উপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর শ্রীলঙ্কা উপকূল হয়ে এসব প্রমোদতরী মালদ্বীপে পৌঁছেছে।

বুধবার রাতে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস জানায়, রাশিয়ার ধনকুবের আলিশের উসমানোভের বিশালাকার প্রমোদতরী জব্দ করেছে জার্মানি। এটি হামবুর্গের একটি শিপইয়ার্ডে রাখা আছে।

গত সোমবার রাশিয়ার যেসব ধনকুবেরের ওপর ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাদের একজন আলিশের উসমানোভ। প্রমোদতরী শিল্পের সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্রের বরাতে ফোর্বস জানায় উসমানোভের মালিকানাধীন ৫১২ ফুট দৈর্ঘ্যের প্রমোদতরী দিলবার এর মূল্য ৬০ কোটি ডলারের বেশি। এই প্রমোদতরীটি জব্দ করেছে জার্মান কর্তৃপক্ষ।

এর আগে জাহাজ শনাক্তের প্রতিষ্ঠান মেরিন ট্রাফিক এর তথ্যে দেখা যায়, রাশিয়ার আরেক ধনকুবের ওলেগ ডেরিপাসকার মালিকানাধীন প্রমোদতরী ক্লিও সুপারইয়ট বুধবার মালদ্বীপের রাজধানী মালের উপকূলে ভেসে বেড়াচ্ছে। অ্যালুমিনিয়াম জায়ান্ট রুসাল এর প্রতিষ্ঠাতা ওলেগ ডেরিপাসকার ওপর ২০১৮ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

এছাড়া স্টিল উৎপাদক ইভরাজ এর সহপ্রতিষ্ঠাতা আলেক্সান্ডার আব্রামোভ এর দ্য টাইটার মালদ্বীপে পৌঁছায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি।

এছাড়া রাশিয়ার ধনকুবেরদের মালিকানাধীন আরও তিনটি প্রমোদতরীকে বুধবার মালদ্বীপের জলসীমায় ভেসে বেড়াতে দেখা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪৪ মিটারের নিরবানা। এটির মালিক রাশিয়ার সবচেয়ে ধনী পুরুষ ভ্লাদিমির পোতানিন।

মালদ্বীপে ভেসে বেড়ানোর আগে এসব প্রমোদতরীর বেশিরভাগগুলোকেই এই বছরের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বন্দরে নোঙ্গর করে থাকতে দেখা যায়।

রুশ প্রমোদতরীর বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেননি মালদ্বীপ সরকারের মুখপাত্র। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রুশ নাগরিকদের সম্পদ জব্দ করতে কঠোর পদক্ষেপ নেবে তারা।

সূত্র: রয়টার্স