ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী পাঠানো নিয়ে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

ইউক্রেন আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী পাঠানোর বিষয়ে হুঁশিয়ারি জানিয়েছে রাশিয়া। বুধবার পোল্যান্ডের এই প্রস্তাবকে ‘বেপরোয়া’ বলে উল্লেখ করেছে দেশটি। বলেছে, এর ফলে ন্যাটো বাহিনী ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘাতের সূত্রপাত হতে পারে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

গত শুক্রবার ইউক্রেনের প্রতিবেশী পোল্যান্ড জানায়, ন্যাটোর আগামী সম্মেলনে ইউক্রেনে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী পাঠানোর প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরবে তারা।

এই উদ্যোগের বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি খুবই বেপরোয়া এবং চরম বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া ও ন্যাটো বাহিনীর মধ্যে সরাসরি সংঘাতের যেকোনও সম্ভাব্যতার স্পষ্ট পরিণতি থাকবে, যেগুলো মেরামত করা যাবে না।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এটিকে প্রতিবেশী দেশের সামরিক সক্ষমতা হ্রাস এবং দেশটির বিপজ্জনক জাতীয়তাবাদীদের নির্মূল করতে বিশেষ সামরিক অভিযান হিসেবে বলে আসছে মস্কো।

আক্রমণ শুরুর পর ইউক্রেনের সেনারা দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এবং পশ্চিমারা রাশিয়ার ওপর যুদ্ধ বন্ধে চাপ প্রয়োগের জন্য একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করছে।

গত সপ্তাহে কিয়েভে পোল্যান্ডের ক্ষমতাসীন দলের নেতা জারোস্লাউ কাজিনস্কি বলেছিলেন, আমি মনে করি ইউক্রেনে শান্তি মিশন জরুরি–এতে ন্যাটো ও বৃহত্তর আন্তর্জাতিক কাঠামোর আওতায় এই মিশন হতে পারে। কিন্তু এটিকে নিজেকে রক্ষায় সক্ষম হতে হবে এবং ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে পরিচালিত হবে।

বুধবার মস্কো স্টেট ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স-এর কর্মী ও শিক্ষার্থীদের সামনে ভাষণে এই প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি বলেন, এটি হবে রাশিয়া ও ন্যাটোর সেনাবাহিনীর সরাসরি সংঘাত। যে সংঘাত সবাই এড়িয়ে চলার চেষ্টাই শুধু করছে না, নীতিগতভাবে এমন কিছু ঘটুক কেউ চায় না।