আজভস্টলে মাইন অপসারণ করছে রুশ সেনারা

ইউক্রেনের মারিউপোলের আজভস্টল স্টিল কারখানায় ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের পুঁতে রাখা মাইন অপসারণ করতে শুরু করেছে রাশিয়ার সেনারা। কয়েক সপ্তাহ ধরে অবস্থানের পর শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনীয় সেনারা গত সপ্তাহে আত্মসমর্পণ করতে শুরু করে। এরপর রবিবার থেকে রুশ সেনারা কারখানার মাইন অপসারণ করতে শুরু করে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, রুশ সেনারা কারখানার ভেতর হাঁটছে এবং মাইন ডিটেক্টর দিয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করছে। এসময় অপর সেনাদের বিস্ফোরক দ্রব্য খুঁজতে দেখা গেছে।

এক রুশ সেনা জানান, অনেক বিশাল কাজ। শত্রুরা তাদের মাইন পুঁতে রেখেছে। আমরাও শত্রুদের ঠেকিয়ে রাখতে কিছু রেখেছি। এগুলো অপসারণে আমাদের দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগবে।

শুক্রবার রাশিয়া ঘোষণা দেয়, আজভস্টলে অবস্থান নেওয়া শেষ ইউক্রেনীয় সেনা আত্মসমর্পণ করেছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। কিন্তু দেশটির এক কমান্ডার জানিয়েছেন, কারখানার ভেতরে থাকা তাদের একটি ইউনিটের সেনাদের আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার দখল করা বৃহত্তম শহর হলো মারিউপোল। টানা তিন মাসের যুদ্ধে বেশ কয়েকবার পিছিয়ে পড়লেও শহরটি দখলে নিজেকে জয়ী হিসেবে তুলে ধরার সুযোগ পাবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

রবিবার আজভস্টলে নিয়ন্ত্রিত মাইন বিস্ফোরণ ও সামরিক বুলডোজার ব্যবহার করে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।

ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, কারখানাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন ভবনের অনেকাংশ ধসে পড়েছে।

এক রুশ সেনা জানান, গত দুই দিনে শতাধিক বিস্ফোরক ধ্বংস করা হয়েছে। কাজ চলমান রয়েছে।

মারিউপোলের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ফলে ক্রিমিয়া উপত্যকার সঙ্গে সরাসরি স্থল যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারবে রাশিয়া। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। রুশ ভূখণ্ডের পাশাপাশি রাশিয়পন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে মারিউপোলের মাধ্যমে।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া। দেশটির দাবি, তারা ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে। তবে ইউক্রেন ও পশ্চিমারা এই আক্রমণকে উসকানি ছাড়াই আগ্রাসী যুদ্ধ হিসেবে দাবি করছে। চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও বেসামরিক হত্যার অভিযোগ এনেছে পশ্চিমারা। রাশিয়া এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।