মিত্রের খোঁজে আফ্রিকায় নজর রাশিয়ার

ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দার মুখে পড়তে হয়েছে রাশিয়াকে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরে নতুন মিত্রের খোঁজ করছে মস্কো। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, আফ্রিকার দেশগুলোতে সিরিজ সফরে যাচ্ছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। রবিবার মিসর হয়ে এ সফর শুরু করছেন তিনি। সফরে এ অঞ্চলের দেশগুলোকে কাছে টানার চেষ্টা করবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

কায়রোতে আরব লিগের সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ইথিওপিয়া ও উগান্ডা যাবেন ল্যাভরভ। পশ্চিমা দুনিয়ার সঙ্গে এই দেশ দুইটির সম্পর্কে টানাপড়েন রয়েছে।

মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতেও যাওয়ার কথা রয়েছে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে মিসরের উল্লেখযোগ্য কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এ সপ্তাহেই রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি কর্পোরেশন রোসাটম মিসরের প্রথম পারমাণবিক প্ল্যান্টে দীর্ঘ বিলম্বিত নির্মাণ শুরু করে। ১৯৭০ সালে নীল নদের উপর আসওয়ান বাঁধ নির্মাণের পর রাশিয়ার ও মিসরের মধ্যেই এটিই সবচেয়ে বড় প্রকল্প।

মিসরের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় অবস্থানে রয়েছে। পশ্চিমা অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গমের অন্তত একটি রাশিয়ান চালান ফিরিয়ে দিয়েছে কায়রো। কেননা, ইউক্রেনের দাবি ছিল, ওই চালানে থাকা গম দখলকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড থেকে চুরি করেছে রাশিয়া। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, আরব বিশ্ব এবং আফ্রিকার দেশগুলোর কাছে অপশ্চিমা বিকল্পের প্রতিও আগ্রহ রয়েছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের একজন গবেষক এইচ.এ. হেলিয়ার। তার মতে, মিসর নিজেকে এমন একটি সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চায় না যেখানে সবকিছুর ওপর পশ্চিমাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়।