অভিবাসীদের জন্য ইংরেজি বাধ্যতামূলক করতে ব্রিটিশ এমপিদের আহ্বান

Captureব্রিটিশ এমপিদের একটি সংসদীয় গ্রুপ প্রধানমন্ত্রী থেরিসা মের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন যাতে করে সব অভিবাসীর জন্য ইংরেজি ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করা হয়। ব্রিটিশ সংসদের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি)-র সামাজিক একীভবন কমিটির এক প্রতিবেদনে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে কমিটির পক্ষ থেকে আঞ্চলিক কোটাভিত্তিতে অভিবাসীদের গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে, যাতে করে অভিবাসীদের আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ ও একীভবন করানো যায়।

এক প্রতিবেদনে এপিপিজি উল্লেখ করেছে, ‘একাধিক গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে, বিভিন্ন ভৌগলিক এলাকায় অভিবাসীদের ছড়িয়ে দিলে একীভবনের মাত্রা অনেক বেশি হয়। বিপরীতে, ওয়ান সাইজ ফিটস অল অভিবাসী ব্যবস্থায় অভিবাসন চক্রে ফাঁক তৈরি করে। ফলে যেসব এলাকায় বেশি অভিবাসী বসবাস করেন সেখানেই তারা কেন্দ্রীভূত হন।’

প্রতিবেদনে সব অভিবাসীদের ইংরেজি শেখা বাধ্যতামূলক করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইংরেজিকে ‘সব সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের প্রধান চাবিকাঠি’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

এপিপিজির চেয়ারম্যান লেবার পার্টির এমপি চুকা ইউমুনা বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ওপর অভিবাসনের প্রভাব বিভিন্ন ধরনের হয়। এ পরিবর্তন বিভিন্নভাবে উদ্বেগজনক বলেও প্রতীয়মান হয়েছে। অভিবাসীদের একীভবনের ক্ষেত্রে ব্যর্থতায় সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। এটা করতে না পারার ব্যর্থতার কারণে যে শূণ্যস্থান তৈরি হচ্ছে তাতে উগ্রপন্থীরা সুযোগ নিচ্ছে এবং বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।’

লেবার পার্টির এমপি চুকা ইউমুনা

এমপি চুকা ইমুনা আরও বলেন, ‘আমাদের এখন একটি কার্যকর একীভবন কর্মসূচি দরকার যুক্তরাজ্যের সব অঞ্চলের জন্য। আমাদের এমন একটি অভিবাসন নীতি প্রয়োজন যাতে করে আমরা নিজেদের পার্থক্য পেছনে ফেলে আনন্দে বসবাস করতে পারি।’

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যদি তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসে তাহলে নতুন অভিবাসীদের দেশটিতে আসা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে এখনও এ বিষয়ে কোনও বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি হয়নি।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় ভিসা চালু করার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে ইংরেজি শেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে।

সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের দেশ বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের দেশ। কিন্তু আমাদের সবাইকে একটি সমাজের, ব্রিটিশ সমাজের অংশ হতে হবে। এই জন্যই আমরা ২০ মিলিয়ন পাউন্ডের ইংরেজি শেখানোর একটি প্রকল্প নিয়েছি। এছাড়া ১৪০ মিলিয়ন পাউন্ডের কন্ট্রোলিং মাইগ্রেশন ফান্ড গড়ে তোলা হয়েছে যাতে করে দুর্বল ইংরেজি ভাষার দক্ষতার কারণে স্থানীয়দের যে প্রভাব তা কাটিয়ে ওঠতে পারে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।’

মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে অনিয়ন্ত্রিত, গণহারে অভিবাসন সামাজিক সংযোগ রক্ষা করা কঠিন করে তোলে এবং সরকারি সেবাখাতের ওপর চাপ বাড়ায়।’

/এএ/